সীমিত ওভার অর্থাৎ তিন ম্যাচের ওয়ানডে এবং তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজ শেষ হলে আগামী ১৭ ডিসেম্বর চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজের মহারণে নামবে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত। এর আগে এই সিরিজে সকলেরই প্রত্যাশা ছিল ভারতের হয়ে বড় রান করবেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কিন্তু অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্ট ম্যাচের পরেই সন্তানসম্ভবা স্ত্রীয়ের পাশে থাকতে দেশে ফিরে যাবে বিরাট। যার ফলে বেশ বড় ধাক্কা পেয়েছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট।
যদিও ভারতীয় অধিনায়কের দেশে ফেরা নিয়ে অনেকেই অনেক রকম মতামত দিয়েছেন। কেউ কেউ মনে করেছেন, খেলার বাইরেও একটি জীবন থাকে এবং বিরাট কোহলি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েই দেশে ফিরছেন। এই বিষয়ে বিরাটের পাশে ছিলেন খোদ জাতীয় দলের হেড কোচ রবি শাস্ত্রী। অন্যদিকে, একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটাররা জানিয়েছেন, দেশের কর্তব্যকে সবার উপরে রাখা উচিত। এবং অস্ট্রেলিয়ার মত এমন কঠিন সফরে ভারতীয় অধিনায়কের ফেরাটা একেবারেই উচিত নয়।
এই দ্বিতীয় সারির মনোভাবাপন্নদের মধ্যে পড়েন কিংবদন্তী ভারতীয় ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার। এর আগে বিশ্বকাপজয়ী এই ওপেনার জানিয়েছিলেন যে বিরাটের এভাবে সিরিজের মাঝখানে দেশে ফেরাটা একেবারে উচিত নয়। আর এবার কার্যত পরোক্ষভাবে বিরাটের দেশে ফেরা নিয়ে কটাক্ষ করলেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক। ১৯৭৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের একটি কাহিনীর বিষয়ে লিখেছেন গাভাস্কার, যেখানে তাকে বিসিসিআই দেশে ফিরতে আটকেছিল কিনা সেই নিয়ে জল্পনা দূর করেছেন তিনি।
এই নিয়ে জনপ্রিয় সংবাদপত্র দ্য মিড ডেতে নিজের কলামে সুনীল গাভাস্কার সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “প্রথমত, আমি বিসিসিআই এর কাছে অনুমতি চাইনি দেশে ফিরে নিজের সন্তানসম্ভবা স্ত্রীয়ের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। যখন আমি ভারতীয় দলের সাথে নিউজিল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েছিলাম, আমি জানতাম সে সফর চলাকালীন আমার সন্তানের জন্ম হবে। আমি ভারতীয় দলের হয়ে খেলার জন্য নিজেকে উতসর্গ করেছিলাম এবং এই বিষয়ে আমার স্ত্রী আমায় সমর্থন করেছিল।”
এই লেখার মাধ্যমে কার্যত স্পষ্ট, পরোক্ষভাবে বিরাট কোহলির দেশে ফিরে যাওয়াকে সমর্থন করছেন না সুনীল গাভাস্কার। আর এখানে নিজের উদাহরণ দিয়ে সেটি বুঝিয়ে দিলেন ক্রিকেট বিশ্বকে। বিরাট কোহলির মত ক্রিকেটার না থাকলে ভারতীয় দলের শক্তি অনেকটাই কমে যাবে, তা বুঝেছেন গাভাস্কার। আর তাই বিরাটের এইভাবে চলে যাওয়াকে মেনে নিতে পারছেন না এই কিংবদন্তী ক্রিকেটার।