এই প্রজন্মের ক্রিকেটে সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন হলেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা স্টিভ স্মিথ। গত ২০১৫ সাল থেকে ফর্মের চুড়ান্ত শিখায় রয়েছেন স্টিভ স্মিথ, রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন সর্বত্র। মাঝে এক বছর বল বিকৃতির অভিযোগে এক বছর নির্বাসনে থাকার পরেও রাজার মত ফিরেছেন এই প্রাক্তন অসি অধিনায়ক। চলতি ভারত সফরে স্টিভ স্মিথ দুটি শতরানও হাঁকিয়েছেন। ফলে অনেকেই আশা করেছিলেন, চলতি টেস্ট সিরিজেও ভারতের বিরুদ্ধে বড় রান করবেন বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট ব্যাটসম্যান।
কিন্তু চলতি বর্ডার গাভাস্কার ট্রফির সিরিজে স্টিভ স্মিথ একেবারে হতশ্রী ফর্মে রয়েছেন। তিন ইনিংসে তার স্কোর যথাক্রমে ১, ০ এবং ৮। এত খারাপ শুরু এর আগে কোনও টেস্ট সিরিজে করেননি স্মিথ, আর এর ফলে তার দুরন্ত কেরিয়ারে বেশ বড় কালি লাগল তা বলাই যায়। ভারতীয় বোলাররা, বিশেষত জসপ্রীত বুমরাহ এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন যেভাবে তাকে ব্যতিব্যস্ত করেছেন – তাতে অস্বস্তিতে ভুগেছেন স্মিথ। দুবার তিনি আউট হয়েছেন অশ্বিনের বলে, আর দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হন বুমরাহের কাছে।
কিন্তু তারকা অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন যেভাবে নাস্তানাবুদ করেছেন টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যানকে, তা সত্যিই প্রশংসাযোগ্য। তিন বারের মধ্যে দুইবার অশ্বিন আউট করেছেন স্মিথকে। আর এবার ম্যাচ হেরে গিয়ে কার্যত স্বীকার করলেন স্মিথ, এই প্রথম কোনও স্পিনার তার কেরিয়ারে সব থেকে বেশি ঝামেলায় ফেলেছে। তিনি অশ্বিনকে খেলতেই পারেননি, এমনই স্বীকারোক্তি করেছেন স্মিথ।
এই নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার রেডিও চ্যানেল এসইএন রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্টিভ স্মিথ বলেছেন, “আমি যেমনটা চেয়েছিলাম সেভাবে হয়ত আমি অশ্বিনকে খেলতে পারিনি। আমি চেয়েছিলাম যাতে ওনার উপর কিছুটা চাপ তৈরি করতে পারি। কিন্তু আমি সম্ভবত ওনাকে সুযোগ দিয়েছি আমার উপর কর্তৃত্ব স্থাপন করার এবং এটি এমন বিষয় যা আমি অন্য কোনও স্পিনারকে করতে দিইনি আমার কেরিয়ারে। আমার উচিত ছিল আক্রমণটি ওনার দিকে নিয়ে যাওয়ার, হয়ত আর একটু আক্রমণাত্মক হতে পারতাম এবং বাধ্য করাতাম পরিবর্তন আনার জন্য।”
ওয়ানডে সিরিজে দারুণ ফর্মে থাকার পর টেস্ট সিরিজে এমন খারাপ পারফর্মেন্স করার পর নিজের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে মরিয়া স্মিথ। তিনি বলেছেন, “হয়ত এটি দুদিক থেকেই বেশ যন্ত্রণাদায়ক, কিন্তু আমার মনে হয় আমায় নিজের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে এবং খেলাটিকে তাদের কাছে নিয়ে যেতে হবে ও নিজের খেলাটি খেলতে হবে। এই মুহুর্তে আমি ক্রিজে সময় খুঁজে বেড়াচ্ছি, আর এটিই আমার কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমি এই বছরটিকে দেখি, তাহলে হয়ত আমি সব থেকে বেশি সময় ক্রিজে থেকে ৬৪টি বল, যা গত ওয়ানডে সিরিজ চলাকালীন হয়েছিল।”