সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা গঠিত ভারতীয় ক্রিকেটের চার সদস্যের ‘স্টিয়ারিং কমিটি’ থেকে পদত্যাগ করলেন দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার মহিন্দর অমরনাথ। প্রসঙ্গত, লোধা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট গত বছর চার সদস্যের এই ‘স্টিয়ারিং কমিটি’ গঠন করে।এই কমিটির কাজ হল, ক্রিকেটারদের নিয়ে একটি নির্দিষ্ট একটি সংগঠন তৈরি করা, যারা দেশের সর্বশ্রেনির ক্রিকেটারদের বিভিন্ন ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করবে।
চার সদস্যের এই কমিটি অবশ্য কখনোই পূর্ণ শক্তিতে কাজ করতে পারেনি। ‘কমিটি অ্যাডমিনিষ্ট্রেটস’- দুই সদস্য ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা কোচ অনিল কুম্বলে এবং দিয়ান ইউজি অতীতে নিজ নিজ পদ ছেড়ে দিয়েছেন। তারপর আবার জাতীয় দলে বিরাট কোহলিদের কোচ হওয়ার পরে কুম্বলেকে নিজের পদ ছাড়তে হয়। তবে, দিয়ানের সরে যাওয়ার পিছনে সঠিক কারণটি সঠিকভাবে জানা যায়নি। ফলে কমিটিতে একমাত্র রয়ে গিয়েছেন প্রাক্তন সরাষ্ট্র সচিব জি কে পিল্লাই।এই অবস্থায় স্টিয়ারিং কমিটির অসিত্ত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এই কমিটি গঠনের সময় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছিল, কমিটির কাজ হবে, বিভিন্ন বিষয়ে ক্রিকেটাররা যাতে তাদের কথা বলতে পারে এবং নিজেদের দাবি দাওয়া পেশ করতে পারে। তার জন্য প্লেয়ারদের নিয়েই একটি অ্যাসোসিয়েশন তৈরি করা। এর পাশাপাশি ক্রিকেটারদের ইনসিওরেন্স, মেডিক্যাল বেনিফিট এবং বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত কাজকর্ম ইত্যাদি বিষয় নিয়েও এই সংগঠন কাজ করবে। এখন স্টিয়ারিং কমিটির অস্তিত্বই টালমাটাল অবস্থায় পড়েছে।
এদিকে, সম্প্রতি লোধা কমিশন বিসিসিআইকে কিছু নির্দেশ দিয়েছে। কমিটি গঠন করে সুষ্ঠভাবে বোর্ডের কাজকর্ম দেখার উপদেশ দেওয়া হয়েছে বিসিসিআইকে। আর এই জন্য বোর্ড যে কমিটি তৈরি করেছে, তাতে যুক্ত করা হলে সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। কমিটির শীর্ষে থাকছেন আইপিএল চেয়ারম্যান রাজিব শুক্লা। সঙ্গে থাকছেন বিসিসিআই কোষাধক্য অনিরুদ্ধ চৌধুরি এবং কার্যকরী সচিব অমিতাভ চৌধুরি। প্যানেলের জটিল বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করবে এই কমিটি। লোধা কমিশনের রিপোর্ট মেনে প্রতিটা খুঁটিনাটি বিষয় তুলে ধরতে হবে এই কমিটিকে। এখানে নেওয়া হয়েছে টি সি ম্যাথু এবং জয় সাহাকেও।
অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে লোধা কমিটি যে ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন সংস্কার করতে চলেছে, সেটা মোটামুটি পরিস্কার আগামী ১৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সেখানে নতুন কিছু শোনা যায় কি না, সেটাই এখন দেখার।