একদিনের বিশ্বকাপে আজ টুর্নামেন্টের ১৪তম ম্যাচ ভারত আর অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে খেলা হয়েছে। দুই দলের মধ্যে এই ম্যাচ কেনিংটন ওভাল, লন্ডনে খেলা হয়েছে। যেখানে ভারতীয় দল প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৫২/৫ রান করে। দলের হয়ে শিখর ধবন ১১৭ আর বিরাট কোহলি ৮২ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার দলের সামনে ম্যাচ জেতার জন্য ৩৫৩ রানের বড় লক্ষ্য ছিল। অস্ট্রেলিয়ার দল এই পাহাড় প্রমান লক্ষ্যের জবাবে মাত্র ৩১৬ রানই করতে পারে। আর বিরাট কোহলির দল এই ম্যাচ ৩৬ রানে জিতে যায়।
আসুন এক নজর দেখে নেওয়া যাক এই ম্যাচে হওয়া কিছু গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডসের দিকে—
১. শিখর ধবন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের ৯০০০ রান পূর্ণ করেন। ধবন এই উপলব্ধী হাসিল করা বাঁহাতি চতুর্থ ভারতীয়, পঞ্চম ভারতীয় ওপেনার আর ১৫তম ভারতীয় খেলোয়াড় হন।
২. রোহিত শর্মা ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২০০০ রান পূর্ণ করলেন। এই রেকর্ড গড়া রোহিত শচীন তেন্ডুলকরের (৩০৭৭) মাত্র দ্বিতীয় ভারতীয় এবং বিশ্বের চতুর্থ খেলোয়াড় হলেন।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ানডেতে ২০০০ রান করা খেলয়াড়—
The batsman | Country | Run |
Sachin Tendulkar | India | 3,077 |
Desmond Haynes | West Indies | 2,262 |
Viv richards | West Indies | 2,187 |
Rohit Sharma | India | 2,037 |
৩. রহিত শর্মা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নিজের ২০০০ রান মাত্র ৩৭তি ইনিংসে পূর্ণ করেন। কোনো একটি দেশের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কম ইনিংসে দু হাজার রান পূর্ণ করা রোহিত শর্মা বিশ্বের প্রথম খেলোয়াড় হলেন।
কোনো একটি দেশের বিরুদ্ধে ওয়ানডেতে সবচেয়ে কম ইনিংসে ২০০০ রান পূর্ণ করা খেলোয়াড়:
The batsman | Shifts | Vs |
Rohit Sharma | 37* | Australia |
Sachin Tendulkar | 40 | Australia |
Virat Kohli | 44 | Sri Lanka |
Viv richards | 44 | Australia |
Mahendra Singh Dhoni | 45 | Sri Lanka |
৪. শিখর ধবন (১১৭)এর একদিনের বিশ্বকাপে এটি তৃতীয় সেঞ্চুরি অন্যদিকে আইসিসি ইভেন্টে এটি তার ষষ্ঠা সেঞ্চুরি। আইসিসির একদিনের ইভেন্টে (চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আর বিশ্বকাপ) সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করা ধবন পঞ্চম খেলোয়াড় হন। শিখর ধবনের আগে শচীন তেন্ডুলকর আর সৌরভ গাঙ্গুলী (৭), রিকি পন্টিং আর কুমার সাঙ্গাকারা রয়েছেন।
৫. শিখর ধবনের সেঞ্চুরিটি একদিনের বিশ্বকাপে ভারতী দলের তরফে ২৭তম সেঞ্চুরি ছিল। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করার বিষয়ে টিম ইন্ডিয়া প্রথম স্থানে চলে এল অস্ট্রেলিয়াকে (২৬) পেছনে ফেলে।
৬. রোহিত শর্মা আর শিখর ধবন প্রথম উইকেটের হয়ে ১২৭ রান যোগ করেন। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যে কোনো দলের হয়ে মাত্র তৃতীয় সেঞ্চুরি পার্টনারশিপই দেখতে পাওয়া গেছে। রোহিত আর ধবনের আগে গ্রেম স্মিথ আর এবি ডেভিলিয়র্স (১৬০ রান, ২০০৭), আর গ্রাহাম গুচ আর ইয়ান বোথাম (১০৭, ১৯৯২) রয়েছেন।
৭. আইসিসির ওডিআই ইভেন্টে (বিশ্বকাপ আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি) রোহিত শর্মা আর শিখর ধবন (১২৭) এর এটি ষষ্ঠ সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ। এই বিষয়ে এই জুটি শ্রীলঙ্কার তিলকরত্নে দিলশান আর কুমার সাঙ্গাকারাকে (৫) পেছনে ফেলে দিয়েছেন।
৮. রহিত শর্মা আর শিখর ধবন (১২৭)এর এটি ওয়ানডেতে ১৬তম সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ। ভারতের হয়ে এই ফর্ম্যাটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ করা এই জুটি তৃতীয় স্থানে উঠে এল। এই জুটির আগে শচীন তেন্ডুলকর সৌরভ গাঙ্গুলী (২৬) আর রোহিত শর্মা বিরাট কোহলির (১৬) নাম আসে।
৯. রোহিত শর্মা আর শিখর ধবন (১২৭)এর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওপেনিং ব্যাটসম্যানদের দ্বারা করা এটি প্রথম সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ।
১০. ভারতীয় দল এই ম্যাচে ৩৫২/৫ রান করে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি টিম ইন্ডিয়ার চতুর্থ সবচেয়ে বড়ো স্কোর।
১১. ভারত ৩৫২/৫ স্কর একদিনের বিশ্বকাপের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতিয় এমন বার যখন কোনো দল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩০০+ স্কোর করল। টিম ইন্ডিয়ার এর আগে ২০১৫য় শ্রীলঙ্কা ৩১২ রান করেছিল।
১২. বিরাট কোহলি (১০৯৪৩) ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রান করার ব্যাপারে নবম স্থানে পৌঁছলেন। বিরাট কোহলি এই বিষয়ে প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়কে (১০৮৮৯) পেছনে ফেলে দিলেন।
১৩. ইংল্যাণ্ডের মাটিতে করা এটি গব্বরের চতুর্থ সেঞ্চুরি। একদিকের ক্রিকেটে ইংল্যাণ্ডের মাটিতে চারটি সেঞ্চুরি করা ধবন প্রথম ভারতীয় খেলোয়াড় হলেন।
১৪. ইংল্যাণ্ড আর ওয়েলসের মাঠে শিখর ধবন ১০০০ রানও পূর্ণ করেছেন। শিখর ধবন এই কৃতিত্ব মাত্র ১৯টি ইনিংসে হাসিল করেছেন।
১৫. এই ম্যাচে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (২৮)কে যজুবেন্দ্র চহেল নিজের শিকার বানান। ওয়ানডেতে চতুর্থবার হল যখন চহেল ম্যাক্সওয়েলের উইকেট নিলেন। এই বিষয়ে যজুবেন্দ্র চহেল মইন আলি আর মর্নি মর্কেলকে ছুঁয়ে ফেলেছেন।
১৬. স্টিভ স্মিথ এই ম্যাচে ৬৯ রান করেন। বিশ্বকাপের গত আটটি ইনিংসে এটি সপ্তম এমন বার ছিল যখন স্মিথ ৫০+ স্কোর করলেন।
১৭. ভারতীয় দলের অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই জয় একদিনের ক্রিকেটে তাদের ৫০তম জয়।
১৮. এই ম্যাচে দুই দলের উপরিক্রমের পাঁচজন ব্যাটসম্যান ২৫+ স্কোর করেন। একদিনের ক্রিকেটের ইতিহাসে এটা প্রথমবার যখন দুই দলের পাঁচজন ব্যাটসম্যান ২৫+ স্কোর করলেন।