আইপিএল ২০১৯এর এলিমিনেটরে দিল্লি ক্যাপিটালসের মুখোমুখি হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। পয়েন্টস টেবিলে দিল্লি তৃতীয় আর হায়দ্রাবাদ চতুর্থ স্থানে ছিল। এই ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে বোলিং করে দিল্লি হায়দ্রাবাদকে ১৬২ রানে আটকে দেয়। এরপর দিল্লি শেষ ওভারে ম্যাচকে ২ উইকেটে জিতে নেয়।
এই ম্যাচে হল ৯টি বড়ো রেকর্ড, আসুন একবার দেখে নেওয়া যাক:
১. অমিত মিশ্রা এই ম্যাচে মার্টিন গুপ্তিলকে আউট করতেই দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে নিজের ১০০ উইকেট পূর্ণ করেন।
২. বোলার হিসেবে ঈশান্ত শর্মা জন্য এটি দ্বিতীয় সবচেয়ে ভাল আইপিএল থেকেছে। তিনি এই মরশুমে এখনো পর্যন্ত ১২টি উইকেট নিয়েছেন। আইপিএল ২০১৩য় তিনি ১৫টি উইকেট নিয়েছিলেন।
৩. আইপিএল ২০১৯এ আজ ১২তম বার হল যখন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ পাওয়ার প্লেতে ৫০এর বেশি রান করল।তার পর রাজস্থান রয়্যালস ৯বা পাওয়ার প্লেতে এমনটা করতে পেরেছে।
৪. আইপিএলের ইতিহাসে এটা প্রথম সুযোগ যখন দিল্লি ক্যাপিটালস প্লে অফের ম্যাচ জিতেছে। এর আগে আইপিএল ২০০৮, ২০০৯ আর ২০১২য় প্লে অফে দিল্লি হেরে গিয়েছিল।
৫. পৃথ্বী শ আজ আইপিএলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন। এটি আইপিএলে তার চতুর্থ আর এই মরশুমের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি ছিল। কেকেআরের বিরুদ্ধে এই মরশুমে তিনি ৯৯ রান করেছিলেন।
৬. দীপক হুডা নিজের প্রথম ওভারেই শিখর ধবনকে আউট করেন। এই মরশুমে তিনি নিজের ১১তম ম্যাচে প্রথম উইকেট হাসিল করলেন।
৭. ২০ বছরের কম বয়েসে আইপিএলে সবচেয়ে বেশি হাফসেঞ্চুরি করার ব্যাপারে পৃথ্বী শ শুভমান গিলকে ছুঁয়ে ফেলেছেন। দুইজনের নামেই সবচেয়ে বেশি ৪টি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে। ঋষভ পন্থ,ঈশান কিষাণ, আর সঞ্জু স্যামসন ৩টি করে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন।
৮. সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের আইপিএলে এটি নবম এলিমিনেটর ম্যাচ ছিল। তারা এর মধ্যে ৪টি ম্যাচ জিতেছে এবং ৫টি ম্যাচ হেরেছে।
৯. অমিত মিশ্রা এই ম্যাচে ফিল্ডিংয়ে বাধা দেওয়ার কারণে আউট হয়েছেন। আইপিএলে এটা মাত্র দ্বিতীয়বার যখন কোনো ব্যাটসম্যানকে এই কারণে আউট দেওয়া হয়েছে। এর আগে একমাত্র ইউসুফ পাঠানই এভাবে আউট হয়েছিলেন।