ভারতীয় ক্রিকেটের সাবেক তারকা ক্রিকেটার শ্রীসন্থ ২০১৩ সালে আইপিএলে স্পট ফিক্সিং এর দায়ে ক্রিকেট থেকে আজীবনের নির্বাসন পেয়েছিলেন। অনেক চেষ্টা করেওকোন কাজ হয় হয়নি, এমনকি পান নি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ ও। কিন্তু, গত সোমবার আশা জাগিয়ে কেরল হাইকোর্ট রায় দিল শ্রীসন্থের পক্ষেই। সোমবার বিসিসিআইকে আদালত নির্দেশ দেয়, শ্রীসন্থের উপর থেকে আজীবন নির্বাসনের শাস্তি তুলে নেওয়া হোক। কিন্তু এখন বিসিসিআই আবার কেরল হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন এস শ্রীসন্থ। গত মার্চে বিসিসিআই- এর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা মামলা করেন ওই ক্রিকেটার। এরও আগে ২০১৫তে দিল্লির এক আদালত তাঁর নির্বাসন তুলে নেওয়ার কথাও বলেছিল। কিন্তু, বিসিসিআই তার সিদ্ধান্তে অনড় ছিল। একই সময়ে নির্বাসিত হয়েছিল দুই ক্লাব চেন্নাই ও রাজস্থান। সেই দুই ক্লাবকে আগামী মৌসুমে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে আইপিএল।
কিন্তু শ্রীসন্থের বিষয় বরাবর ই অনড় ছিল বিসিসিআই। দিল্লি পুলিশের দেওয়া তথ্যের উপর দাঁড়িয়েই শ্রীসন্থকে নির্বাসিত করা হয়েছিল। আবার সেই তথ্যের উপর নির্ভর করেই তাঁকে ছাড়ও দেওয়া হয়েছিল। ২০১৩তে বিসিসিআই ভারতীয় দল থেকে শ্রীসন্থকে বাদ দেয়। আত্মপক্ষ সমর্থনেও সুযোগ না পেয়ে শ্রীসন্থ দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্টে গেলে কোর্ট তাঁকে ছাড় দেয়। কিন্তু বিসিসিআই-এর কার্যকরী কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, শ্রীসন্থের উপর নির্বাসনের খাঁড়া রেখেই দেওয়া হবে। এ বার আবার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধেও আপীলের সিদ্ধান্তে শ্রীসন্থের ক্যারিয়ার হুমকিতে পড়ে গিয়েছে।
অথচ হাইকোর্টের রায়ের পর উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছিলেন শ্রীসন্থ। পরিকল্পনা করে ছিলেন কিভাবে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল খেলে আবার জাতীয় দলে আসবেন। এই ডানহাতি পেসার বলেন, “ভারতীয় দলে প্রথম ডাক পাওয়ার থেকেও আমি আজ বেশি খুশি। আদালত আমায় নির্দোষ ঘোষণা করেছে।” ভারতের হয়ে ২০১৯-এর বিশ্বকাপ খেলার জন্য যে তিনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন তা বুঝাতে বলেছিলেন, “আমার লক্ষ্য ২০১৯-এর বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে জায়গা পাকা করে নেওয়া। জানি এটা প্রায় অসম্ভব, তবে আমি মিরাকলে বিশ্বাস করি।”
কিন্তু এর মাঝে বিসিসিআই আপীলে সিদ্ধান্ত নেওয়া ক্ষোভ ঝেড়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যদি দল ফিরতে পারে তা হলে ব্যক্তি নয় কেন? গত শুক্রবার টুইটারে শ্রীসন্থ লেখেন, ‘‘বিসিসিআই আমি ভিক্ষা চাইছি না, আমার বেঁচে থাকা ফিরিয়ে দেওয়া হোক। এটা আমার অধিকার। তোমরা ভগবানের ওপরে নও।’’