অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অলরাউন্ডার ড্যারেন লেম্যানের মত যে ভারত সহ বিশ্ব ক্রিকেটের সমস্ত দলগুলির আলাদা আলাদা ফর্ম্যাটে আলাদা আলাদা কোচ রাখা উচিত। এতে দলগুলির প্রদর্শনেও উন্নতি হবে আর কোচের মাথা থেকেও ভার হালকা করা যেতে পারে। তিনি স্প্লিট কোচিংয়ের তদ্বির এই কারণে করেছেন কারণ তার মনে হয় যে ক্রমবৃদ্ধিমান ক্রিকেট কার্যক্রমের কারণে কোচদের ক্রিকেট আর পরিবারের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে সমস্যা হচ্ছে।
দলগুলির স্প্লিট কোচিংয়ের প্রয়োজন
ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ী দলের কোচ ট্রেভর বোলিসের সঙ্গে বিবিসির কার্যক্রম টাফার্স অ্যাণ্ড ওউন’ শোতে লেম্যান বিশ্ব ক্রিকেটের দলগুলিকে স্প্লিট কোচিংয়ের পরামর্শ দিয়ে বলেছেন যে পরিবার থেকে সারা বছরে ছয় মাসের বেশি দূরে থাকায় কোচের উপর যথেষ্ট চাপ তৈরি হয়। লেম্যান বলেন,
“পরিবার থেকে বছরে ছয় মাসের বেশি সময় দূরে থাকায় কোচের উপর যথেষ্ট চাপ তৈরি হয়। আমার মনে হয় যে আলাদা আলাদা ফর্ম্যাটে আলাদা কোচ ভারত আর এখানের ভবিষ্যত। আপনি বছরে ২০০ দিন দূরে থাকতে পারেন না। যদি পরিবারের উপর যথেষ্ট চাপ থাকে আর একমাত্র কোচের উপরও যথেষ্ট চাপ থাকে”।
ফর্ম্যাটের অনুযায়ী ভাগ করা হোক কোচিংয়ের দায়িত্ব
সমস্ত দেশগুলিরতে কোচদের তাদের কাজের অনুযায়ী রাখা হয়। যেমন ভারতে প্রধান কোচ, বোলিং, ব্যাটিং এবং ফিল্ডিং কোচ রাখা হয়েছে। তো অন্যদিকে প্রত্যেক দেশে কোচের নিযুক্তির নিজস্ব নিয়ম রয়েছে। কিন্তু লেম্যানের বক্তব্য যে বোর্ডগুলির ফর্ম্যাটের অনুযায়ী কোচ বাছা উচিত। তিনি বলেছেন,
“এটা সাদা বল বা লাল বলের ক্রিকেট হতে পারে। আপনাকে দেখতে হবে যে এটা কীভাবে কাজ করে। আমি বছরের যথেষ্ট সময় নিজের পরিবার থেকে আলাদা থাকি আর কিছু সময় পর এর প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়। আমি নিজের সুযোগের ফায়দা তুলেছি আর আশা করছি যে অন্যকেউও আমার মতো ভাগ্যবান হবে”।
ভারত কী সম্ভব হবে স্প্লিট কোচিং?
ভারতের কোচিং স্টাফে এখন চারজন কোচ রয়েছেন। প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী, বোলিং কোচ ভরত অরুণ, ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধর আর ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর রয়েছেন। বিসিসিআই ভারতীয় কোচদের মোটা টাকা মাইনে দেয়। ভারতের পধান কোচ রবি শাস্ত্রীকে যখন বিশ্বকাপের পর দ্বিতীয়বার কোচিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় তো তার মাইনে বাড়িয়ে ১০ কোটি টাকা করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে বোলিং কোচ এবং ফিল্ডিং কোচ ৩.৫ কোটি টাকা মাইনে পান। নতুন নিযুক্ত হওয়া বিক্রম রাঠোরকে ২.৫ থেকে ৩ কোটির মধ্যে মাইনে দেওয়া হয়। বিসিসিআই দ্বারা খরচা হওয়া কোচিং স্টাফদের এই বড়ো বাজেটকে দেখে এটা বলা ভুল হবে না যে ভারতে স্প্লিট কোচিং হওয়া মুশকিল।