বিসিইআইয়ের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীর অবস্থান শুধু ভারতেই নয় বরং বিদেশেও যথেষ্ট রয়েছে। এর ঝলক আপনারা প্রায়শই দেখতে পান। এখন এই লকডাউন চলাকালীন গাঙ্গুলী আনঅ্যাকেডেমি অ্যাপে লাইভ এসেছেন। যেখানে তিনি নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারের ব্যাপারে জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের মোটিভেট করেছেন সেই সঙ্গে তিনি একটি ঘটনাকেও স্মরণ করেছেন যখন হরভজন সিং আর শচীন তেন্ডুলকর মিলে তাকে এপ্রিল ফুল করেছিলেন।
ভাজ্জি-শচীন করেছিলেন এপ্রিল ফুল
আনঅ্যাকাডেমি অ্যাপে নিজের এক সমর্থকের প্রশ্নের জবাব দিয়ে গাঙ্গুলী জানিয়েছেন যে একবার হরভজন সিং-শচীন তেন্ডুলকর মিলে তাকে এপ্রিল ফুল করেছিলেন। সেই ঘটনাকে স্মরণ করে গাঙ্গুলী বলেন,
“আমি ওই ঘটনাটি চিরকাল মনে রাখব, আমি তখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রান করতে পারছিলাম না। আমি দলের অধিনায়ক ছিলাম। আমার মনে আছে এপ্রিল ফুলের দিন, আমার মনেও ছিল না যে সেদিন এপ্রিল ফুল আর খেলোয়াড়রা ইয়ার্কিও মারতে পারে। আমি রান করতে পারছিলাম না, সেই কারণে আমি সামান্য হতাশ ছিলাম। আমি যেমনই ড্রেসিং রুমে যাই তো খেলোয়াড়রা একসঙ্গে চলে আসে। শচীন আর হরভজন বলছিলেন যে আপনি দলের ব্যাপারে মিডিয়ায় যা বলেছেন তাতে আমরা হতাশ। আমি বলি, আমি কী বলেছি। ওরা বলেন নিউজপেপারে খবর রয়েছে যে দল সেভাবে খেলছে তাতে আপনি খুশি নন। তো আমি এটা শুনে হতাশ হয়ে যাই আর অধিনায়কত্ব থেকে ইস্তফা দিতেও প্রস্তুত হয়ে যাই”।
ঠাট্টা প্রমানিত হয়েছিল লাভজনক
এপ্রিল মাসের এক তারিখে প্রায় সমস্ত বন্ধুরাই একে অপরকে এপ্রিল ফুল করার নতুন নতুন উপায় খুঁজতে থাকেন। এমনিতে বেশিরভাগ মানুষের এই তারিখটি মনে থাকে তাই তারা এপ্রিল ফুল হননা। কিন্তু যদি কারণ মন থেকে এই ব্যাপারটি বেরিয়ে যায় তো তিনি বোকা বনে যান। এখন গাঙ্গুলী ওই ঘটনাটিকে স্মরণ করে আগে বলেন,
“আমি ওদের বলি যে যদি তোমাদের মনে হয় যে আমি দলের খেলার ধরণে নিরাশ আর আমি কিছু ভুল করেছি তো আমি অধিনায়কত্ব থেকে ইস্তফা দিয়ে দিচ্ছি। এটা বলে আমি নিজের চেয়ারে বসে পড়ি। তখনই হরভজন অট্টহাস্য করে বলে উঠে এপ্রিল ফুল। কিন্তু যাই হোক এই ঠাট্টাটি আমার জন্য ভালো কাজ করে আর আমি নিজের হারানো ফর্ম ফেরত পাই। তারপর ওই সিরিজে আমি ভালো খেলি। এটা জানান দেয় যে আমার খেলোয়াড়রা আমার জন্য ভাবেন। আমি রান করতে পারছিলা না আর ওরা চেয়েছিল যে আমি হাল্কা অনুভব করি”।