আসন্ন নভেম্বর-ডিসেম্বরে শুরু হবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার সেই বহু প্রতীক্ষিত ক্রিকেট সিরিজ। আর এই নিয়ে মুখিয়ে রয়েছেন ক্রিকেট প্রেমীরা। করোনা পরবর্তী সময়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশে আবারও ক্রিকেটের ময়দানে নামবে ভারতীয় দল, আর শুরুতেই তাদের যেতে হবে অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে জৈব সুরক্ষা বলয় সংক্রান্ত করোনার যাবতীয় সুরক্ষা বিধি নিয়ে আলোচনায় বসেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এবং বিসিসিআই।
এই মুহুর্তে গোটা বিশ্বে করোনার প্রকোপ পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি। ফলে করোনা প্রোটোকলে কোনওরকম ঢিলেমো দেওয়া হবে না, তা কার্যত স্পষ্ট করে দিলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী। একেবারে দীর্ঘ ও পূর্ণাঙ্গ সফরের জন্য ভারতীয় দল নির্বাচন করবে বিসিসিআই। অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে তিনটি টি২০, তিনটি ওয়ানডে এবং চারটি ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বিরাট কোহলির টিম ইন্ডিয়া। আর এই নিয়ে যাতে করোনার প্রোটোকলে বেশ কিছু কড়া সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট।
অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় সংবাদপত্র দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক জানিয়েছেন, সফরের প্রথম ভাগ খেলা হবে সিডনিতে, যেখানে ক্রিকেটাররা ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। পাশাপাশি সিডনিতেই আয়োজিত হবে এবারের মহিলাদের বিগ ব্যাশ লিগ। এই নিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলী জানিয়েছেন, “এখনও অবধি কাজ ভালো মতই চলছে। সফরের শুরুর দিকটি হবে সিডনিতে। আমরা এখনও আলোচনায় রয়েছি যে কিভাবে এই জৈব বিষয় এবং মেডিকাল অংশগুলিকে আরও মজবুত করা যায়, কারণ এটি অত্যন্ত দীর্ঘ একটি সফর। যদিও আমাকে জানানো হয়েছে যে অস্ট্রেলিয়া বর্তমানে করোনা মুক্ত, খুব বেশি কেস ধরা পড়েনি। মোটামুটি ভাবে, আমর সকলেই চেষ্টা করছি যাতে সব কিছু ঠিকঠাক জায়গায় থাকে এবং যাতে সমস্ত কিছু সুরক্ষিত থাকে, ব্যস এটুকুই।”
পাশাপাশি ক্রিকেটারদের পরিবারকে সাথে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে অনুরোধ করেছেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। যেহেতু ক্রিকেটারদের সাথে তাদের পরিবারের সদস্যরা আইপিএল চলাকালীন জৈব সুরক্ষা বলয়ের অন্তর্গত ছিল, তাই অস্ট্রেলিয়ার জৈব সুরক্ষা বলয়ে তাদের প্রবেশে কোনও অসুবিধা হবে না, এমনটাই মনে করছেন সৌরভ। এই নিয়ে তিনি বলেছেন, “আমরা অনুরোধ করেছি যাতে এই সফরে ক্রিকেটারদের সাথে তাদের পরিবারের সদস্যরা আসুক, কারণ তারা আইপিএল এ দীর্ঘ সময় ধরে ছিল আর তারা সরাসরি আইপিএল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যাবে, কারণ সেখানে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। আশা করি এই সমস্যা মিটে যাবে। খেলোয়াড়রা গত ৮০ দিন ধরে একটি বলয়ের মধ্যে বসবাস করছে। আমি কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছি না কেন পরিবারের সদস্যদের আনা হবে না। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড চেষ্টা করছে ক্রিকেটারদের পরিবারদের আনার ক্ষেত্রে। আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে।”