সৌরভ গাঙ্গুলীকে ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ অধিনায়কদের মধ্যে একজন মনে করা হয়। তিনি নিজের নেতৃত্বের সৌজন্যে বেশকিছু ম্যাচ উইনার খেলোয়াড় তৈরি করেছিলেন, যারা ভবিষ্যতে ভারতীয় দলকে বেশকিছু ম্যাচ জিতিয়েছেন। জানিয়ে দিই যে সৌরভ গাঙ্গুলী ২০০৩ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের অধিনায়ক চিলেন। তার অধিনায়কত্বে ভারতীয় দল ফাইনালে পৌঁছেছিল, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার হাতে ভারতকে ফাইনালে হারতে হয়েছিল।
গাঙ্গুলী ভারতীয় দলকে দিয়েছেন জোশ তো বিরাট এগিয়ে নিয়ে গেছে উত্তরাধিকার
সৌরভ গাঙ্গুলীর অধিনায়কত্বে একটি স্পেশাল বিষয় ছিল তিনি তরুণ খেলোয়াড়দের জমিয়ে সমর্থন করতেন। তার অধিনায়কত্বেই হরভজন সিং, বীরেন্দ্র সেহবাগ, যুবরাজ সিং আর জাহির খানের মতো ক্রিকেটার উঠে এসেছিলেন। আসলে এই খেলোয়াড়দের খারাপ সময়তেও সৌরভ এদের সমর্থন করতেন আর শেষে এই খেলোয়াড়দের তিনি ম্যাচ উইনার বানিয়েছিলেন। গাঙ্গুলী একজন অ্যাগ্রেসিভ অধিনায়ক ছিলেন আর তিনিই ভারতীয় দলে এক নতুন উৎসাহ ভরে দিয়েছিলেন। এখন বর্তমান সময়ে বিরাট কোহলিও ঠিক সেই জোশ নিয়েই ভারতীয় ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এই কথা ইংল্যাণ্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ডেভিড লয়েডও নিজের একটি বয়ানে মেনে নিয়েছেন।
বিরাট কোহলি গাঙ্গুলীর মতোই উৎসাহে ভরপুর
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ডেভিড লয়েড সোনি টেন পিট স্টপ কার্যক্রমে বলেছেন,
“আমি সৌরভ গাঙ্গুলির ভীষণই বড়ো সমর্থক। আমার মত যে সৌরভ গাঙ্গুলী দলে এই কথা বিশ্বাস করিয়েছিলেন যে এখন জোরে বোলাররা আমাদের উপর মর্জিমাফিক কর্তৃত্ব করবেন না কারণ আমরা নিজেদের কিছু ভালো খেলোয়াড় খুঁজছি। সবসময় এটা মনে করা হয়েছে যে ভারত বিদেশের বাউন্সি বলকে পছন্দ করে না, কিন্তু গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে দল বাউন্সি পিচে খেলার জন্য পুরো প্রস্তুতি নিয়ে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিল। গাঙ্গুলী প্রেরণাদায়কের কাজ করেছেন। কোহলি দুর্দান্ত খেলোয়াড় তো বটেই সেই সঙ্গে ভীষণই ভালো নেতৃত্ব প্রদানকারীও। ও কখনো হার মানে না আর ওর কোনো বিষয়েই ভয় নেই। এটা গুরুত্বপূর্ণ যে ও ভয় পায় না। ও গাঙ্গুলীর মতো উৎসাহী আর তার উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে”।