ভুতের কথা, বই আর গল্পেই ভালো লাগে। যদি তারা কোনো দিন সামনে চলে আসে তো বড়ো বড়ো পালোয়ানেরও ঘাম ছুটে যায়। কিন্তু আপনারা কী জানেন যে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী ছেলেবেলায় ভুত দেখেছিলেন। স্পোর্টস কীড়ার সঙ্গে একটি লাইভ চ্যাটে তিনি স্বয়ং এর খোলসা করেছেন যে যখন তিনি ১২-১৩ বছর বয়সী ছিলেন তখন তিনি ভুত দেখেছিলেন।
সৌরভ গাঙ্গুলী ছেলেবেলায় দেখেছিলেন ভুত
ভুত,প্রেতের গল্প আপনারা গল্পের বইতে যথেষ্টই পড়েছেন, আর কখনও কখনও নিজের দাদু ঠাকুরমার কাছে গল্পও শুনেছেন যা আপনাদের ভয় পাইয়ে দিয়ে থাকবে। কিন্তু এখন সৌরভ গাঙ্গুলীও এমন একটি ঘটনা শেয়ার করেছেন। দাদা স্পোর্টস কীড়ার একটি শো ‘ফ্রি হিট’ এ ভুত দেখার পুরো ঘটনা শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন,
“আমি নিজের বাড়িতে ভুত দেখেছিলাম। সেই সময় আমি ১২-১৩ বছর বয়সী ছিলাম। আমাদের বাড়িতে একটি ছেলে কাজ করত। সেদিনটি ছিল রবিবারের সন্ধ্যেবেলা। আমি উপরের ঘরে নিজের পরিবারের সঙ্গে ছিলাম। আমাকে বলা হয়েছিল ওই ছেলেটিকে চা তৈরি করতে বলার কথা। আমি সোজা রান্না ঘরে যাই, কিন্তু ছেলেটি সেখানে ছিল না। পরে আমি নিজের বাড়ির লোকেদের কাছে ফিরে যাই। এরপর বাড়ির লোকেরা আমাকে বলে ওই ছেলেটি ছাদে আছে কিনা দেখে আসতে”।
ছাদের পাঁচিলে দৌড়চ্ছিল
গাঙ্গুলী আগে বলেন,
“যখন আমি ছাদে পৌঁছই তখন ছেলেটি সেখানে ছিল না। কাছেই কিছু ঝোপঝাড় ছিল। আমি সেখানে যাই তো দেখি ছেলেটি ছাদের পাঁচিলে দৌড়চ্ছে। আমাদের ছ’তলা বাড়ি। ও যদি সেখান থেকে পরে তো মরে যাবে। আমি চেঁচিয়ে ওকে নামতে বলি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। আমি নীচে দৌড়ে যাই আর কাকাকে বলি যে ওই ছেলেটি পাগল হয়ে গেছে। আমরা সকলে উপরের দিকে দৌড়ই কিন্তু ওকে সেখানে আর দেখা যায়নি।
শরীরে আসত মায়ের আত্মা
সৌরভ গাঙ্গুলী নিজের গল্প আগে বলতে গিয়ে বলেন ভুতেরও এন্ট্রি হয়। কারণ ওই ছেলেটি বলেছিল যে ওর মা ওর শরীরে নির্দিষ্ট টাইমে ভর করত। এই ব্যাপারে গাঙ্গুলী আগে বলেন,
“পরে যখন আমরা ওকে খোঁজাখুজি করি তো দেখি যে ও একটা গাছের পাতার উপর দাঁড়িয়ে আছে। আমরা ওকে নামার জন্য বলি, কিন্তু ও শোনেনি। এরপর ফায়ার ব্রিগেডকে দেকে ওকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরের দিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ ছেলেটি আমাদের বাড়িতে ফিরে আসে। আমরা ওকে থেকে পালাতে থাকি, তো ছেলেটি বলে ওর মা নির্দিষ্ট দিনে ওর শরীরে ভর করত”।