করণার আতঙ্ক পুরো বিশ্বে বজায় রয়েছে। এই বছরের শুরু থেকেই করোনা মহামারীর প্রকোপ নিজের প্রচণ্ড রূপে আবারও দেখা যাচ্ছে। আর সমাধান এখনও পাওয়া যায়নি। করোনা মহামারি সকলকেই আতঙ্কের মধ্যে থাকতে বাধ্য করেছেন। যেখানে ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত বেশকিছু মানুষকে বহু টেস্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।
সৌরভ গাঙ্গুলী এখনও পর্যন্ত করিয়েছেন ২২ বার কোভিড-১৯ এর টেস্ট
এই বিষয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দলের কন্ট্রোল বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীকেও কোভিড-১৯ এর যথেষ্ট টেস্টের করাতে হয়েছে। স্বয়ং সৌরভ গাঙ্গুলী খোলসা করেছেন যে তিনি গত সাড়ে চার মাসে ২২ বার করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন। অর্থাত তাকে প্রত্যেক সময়ে এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। সৌরভ গাঙ্গুলীর জন্য কোভিড-১৯ এর পরীক্ষাও জরুরী ছিল, কারণ আইপিএলের ত্রয়োদশ মরশুম সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়ায় তাকে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে ইউএইতেই থাকতে হয়েছিল। তবে তিনি সেখানে বায়ো বাবলে ছিলেন, কিন্তু তাও করোনার পরীক্ষা তিনি বারবার করান।
বাবা-মা আর বাকি মানুষদের চিন্তায় করিয়েছেন টেস্ট
বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী লিভিংগার্ড এজি নামে হওয়া একটি ভিডিও কনফারেন্সে বলেছেন যে, “আমি আপনাদের জানাই যে গত সাড়ে চার মাসে আমি ২২ বার কোভিড-১৯ পরীক্ষা করিয়েছি আর একবারও পজিটিভ আসেনি। আমার আশেপাশের মানুষকে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গিয়েছিল, এই কারণে আমাকেও কোভিড-১৯ টেস্ট করাতে হয়েছে। আমি নিজের বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকি আর আমি দুবাই সফর করেছি। শুরুতে আমি যথেষ্ট চিন্তিত ছিলাম, নিজের জন্য নয় বরং গোষ্ঠির জন্য, আপনি কাউকে সংক্রমিত চান না”।
কোভিডে বিসিসিআই করেছে ভাল কাজ
সৌরভ গাঙ্গুলী এরপর অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া দলের খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে বলেছেন যে, “খেলোয়াড়রা ফিট আর ঠিক রয়েছে। সেই সঙ্গেই অস্ট্রেলিয়ায় কোভিড-১০ এর সংখ্যাও বেশি নয়, যেখানে সীমান্তও কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তাও ওরা আন্তর্জাতিক সফর নিয়ে যথেষ্ট বেশি কড়া, আপনাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয় এই কারণে ছেলেরা এখন মাঠে নামার জন্য তৈরি”।
আইপিএলের ১৩তম মরশুমের সফলতা নিয়ে গাঙ্গুলী বলেছেন যে, “আমরা গর্বিত যে বিসিসিআইয়ের দল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের সফল আয়োজন করেছে আর আশা রয়েছে যে এর আগামি মরশুমের আয়োজন ভারতেই হবে। করোনা ভাইরাসের ক্রমবৃদ্ধিমান বিষয়ের কারণে আইপিএলের আয়োজন এই বছর ইউএই-তে করা হয়েছে। প্রায় ৪০০ মানুষ বায়ো বাবলে ছিলেম, সকলের সুরক্ষিত আর সুস্থ থাকার জন্য আড়াই মাসের ভেতর ৩০-৪০ হাজার পরীক্ষা করা হয়েছে”।