বিশ্বের অন্যতম দুই প্রাচীন দল অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড প্রতিনিধিত্ব করে এ্যসেজে। ১৯৯৮/৯৯ থেকে পাঁচ দিনের খেলা শুরু হয় এ্যসেজে। প্রসঙ্গত, এইটা ৭১ তম এ্যসেজ সিরিজ।এখনো অবধি এই ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্ট সর্বাধিক বার জেতার রেকর্ডটি ধরে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের জয়ের সংখ্যা ৩৩, অন্যদিকে ইংল্যান্ডের ৩২ ।প্রসঙ্গত, ২০১৯ এর ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর এ্যসেজ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছ ইংল্যান্ড।সফর ভাবে বিশ্বকাপ জয়ের পর এইবার ইংল্যান্ডের প্রধান লক্ষ্য ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জয়।প্রসঙ্গত, ২০০৫ থেকে এখনও অবধি ঘরের মাঠে আয়োজিত এ্যসেজের একটিতেও হারেনি ইংল্যান্ড।
অন্যদিকে এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ান হিসেবে খেলতে নেমেছে এই সিরিজে।এই মুহূর্তে তাদের প্রধান লক্ষ্য বাইরের মাঠে এ্যসেজ জয়।এজবাস্টনে এ্যসেজের প্রথম টেস্টে জয়ের মধ্যে দিয়ে শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া।ইংল্যান্ডকে তারা হারিয়ে দেয় ২৫১ রানে।ম্যাচের নায়ক স্টিভ স্মিথ।দুই ইনিংসে করেন যথাক্রমে ১৪৪ এবং ১৪২ রান। অন্যদিকে বৃষ্টি বিঘ্নিত দ্বিতীয় টেস্টে লর্ডসের ম্যাচে ফলাফল ড্র।গোটা ম্যাচ ছিলো তীব্র রোমাঞ্চকর।প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ২৫৮ রান করলে অস্ট্রেলিয়া তার জবাব দেয় ২৫০ রান করে।এরপর ২৫৮ /৫ রানে ইংল্যান্ড তাদের দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টার্গেট দেয় ২৬৭। শেষ অবধি অজিরা করে ১৫৪/৬।
The” Ashes “ series have kept test cricket alive …. upto rest of the world to raise their standards
— Sourav Ganguly (@SGanguly99) August 18, 2019
লর্ডস টেস্ট দেখে দারুণ খুশি হয়েছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী। তাঁর বক্তব্য এ্যসেজের জন্য বেঁচে আছে টেস্ট ক্রিকেট। তিনি টুইট করেন এ্যসেজের জন্য বেঁচে আছে টেস্ট ক্রিকেট।বিশ্বমন্চে তুলে ধরছে টেস্ট ক্রিকেটের মানকে। আইসিসির তরফে টেস্ট ক্রিকেটের জৌলুস ফেরানোর দারুণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।একদিকে যেমন আনা হয়েছে টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপ।ঠিক তেমনই আবার জার্সির পিছনে বসেছে নাম এবং নম্বর।যদিও দুটো বিষয়ের সমালোচনা করেছেন বিভিন্ন ক্রিকেট এক্সপার্ট এবং প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা।