শিখর ধবন হামেশাই নিজের ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত। এছাড়াও তার ব্যক্তিগত জীবনও যথেষ্ট ইন্টারেস্টিং। তিনি নিজের থেকে দশ বছর বয়েসী আয়েশার সঙ্গে বিয়ে করেছেন। তো আসুন জেনে নিই আয়েশা ধবনের সম্পর্কে কিছু ইন্টারেস্টিং কথাবার্তা।
শুরুর জীবন
আয়েশা মুখার্জির জন্ম ১৯৭৫ সালে ভারতে হয়। তিনি একজন অ্যাংলো বৃটিশ, কারণ তার মা বৃটিশ এবং বাবা ভারতীয় এবং বাঙালী। তার বাবা এবং মা একটি কারখানায় কাজ করতেন, যেখানে তাদের মোলাকাত হয়েছিল এবং তাদের মধ্যে প্রেম হয়েছিল। যদিও আয়েশার জন্মের পর তারা অস্ট্রেলিয়া চলে যান যেখানে তারা নিজেদের স্কুলের শিক্কা আর স্নাতকোত্তরের পড়াশোনা শেষ করেন। আয়েশা বাংলা ভীষণ স্পষ্ট করে বলতে পারেন।
দুই নাগরিকত্ব
আয়েশা মুখার্জির বৃটিশ মা এবং ভারতীয় পিতা হওয়ার কারণে তিনি দুটি দেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। কিন্তু ধবনের মতে তিনি আয়েশার চেয়ে বেশি ভারতীয়। আয়েশা মন থেকে একজন ভীষণই ধার্মিক মহিলা। তিনি বাংলা যেমন স্পষ্ট বলতে পারেন তেমনিভাবে সুস্বাদু ভারতীয় ব্যাঞ্জনও রান্না করতে পারেন।
নিজেও স্পোর্টসের সঙ্গে যুক্ত
নিজের স্বামী শিখর ধবনের মতই আয়েশাও খেলা ভালোবাসেন। তিনি একজন প্রশিক্ষিত কি বক্সার এবং তিনি এখনও সেই রকমই ফিটনেস ধরে রেখেছেন। রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে তিনি নিজের স্বামীর ফিটনেস মানকেও শুধরোতে বড় ভূমিকা পালন করেছেন।
আগেও করেছেন বিয়ে
শিখর ধবনের সঙ্গে বিয়ে করার আগেও তিনি বিয়ে করেছিলেন। এর আগে তিনি একজন অস্ট্রেলিয়ান ব্যবসায়ীকে বিয়েও করেছিলেন যা ডিভোর্সের পর শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রথম বিয়ে থেকে তার রিয়া আর আলিয়াহ নামে দুটি মেয়েও রয়েছে। তার প্রথম মেয়ে আলিয়ার জন্ম ২০০০ সালে হয়েছিল আর তার আরেক কন্যা রিয়ার জন্ম ২০০৫ এ হয়। অলিয়াহ আর রিয়া দুজনেই অস্ট্রেলিয়ার নরওয়ে ওয়ারেনের মেলবোর্ণ উপনগরে জন্ম হয়েছিল।
ভীষণই ফিল্মি থেকেছে তাদের লাভস্টোরি
একদিন শিখর ধবন আর হরভজন সিং ফেসবুক করছিলেন। তখনও হরভজনের প্রোফাইলে আয়েষার ছবি দেখেন শিখর। তিনি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠান। কিন্তু তার মনে হচ্ছিল না যে অস্ট্রেলিয়ান বক্সার তার রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করবেন। কিন্তু রিকোয়েস্ট পাঠানোর পরই আয়েষা তা অ্যাকসেপ্ট করে নেন। তারপর ধীরে ধীরে ফেসবুকে দুজনের কথাবার্তা শুরু হয়ে যায় আর তা গভীর বন্ধুত্বে পৌঁছে যায়। দুজনে সব কথাই একে অপরের সঙ্গে শেয়ার করতেন।
রোজ কথা বলার এই ব্যাপারটা চলতে থাকে আর দুজনে কখন প্রেমে পড়ে যান তারা বুঝতেই পারেন নি। ধবন জানতেন যে আয়েষা তার থেকে ১০ বছরের বড় এবং দুটি বাচ্চার মা। কিন্তু ধবন তার পরোয়া করেন নি আর বিয়ের জন্য প্রোপোজ করেন।
আয়েষাও হ্যাঁ করে দেন আর ধবন তার কাছ থেকে বিয়ের জন্য সময় চান। কারণ সেই সময় ধবনের কেরিয়ার সবে মাত্র শুরু হয়েছিল। ধবনের পরিবার যখন এ ব্যাপারে জানতে পারে তারা বিয়ের জন্য মানা করে দেন কিন্তু পরে তারা রাজি হন।
এই দুজনের বিয়ের পর একটি ছেলেও হয়। ধবন ছেলের নাম জোরাবর রাখাএন আর তাকে ম্যাচ চলাকালীন দেখাও যায়।এ ছাড়াও বিয়ের পরও আয়েষার দুই মেয়ে রিয়া আর আলিয়াহ তাদের সঙ্গেই থাকেন।
এছাড়াও একটি ইন্টারভিউতেও ধবন এ কথা স্বীকার করেন যে বিয়ে আর দুই মেয়ে থাকার কারণে তিনি আরও বেশি দায়িত্ববান হয়ে গিয়েছেন। তাছাড়া এখন তিনি নিজের পরিবারের প্রতি আরও বেশি টান অনুভব করেন। ধবনকে নিজের দুই মেয়ের সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা যায়। এছাড়াও তিনি তাদের ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন।