ভারতীয় দল বিদেশের মাটিতে খারাপ প্রদর্শনের দাগ মেটাতে এখনও পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে, কিন্তু মুখ্য কোচ রবি শাস্ত্রীর মতে যখন অধিকাংশ দল বিদেশের মাটিতে ভাল প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হচ্ছে তখন কোনও একটি বিশেষ দলকে নিশানা করা উচিত নয়। ভারতকে ২০১৮য় দক্ষিণ আফ্রিকা (১-২) আর ইংল্যান্ডের (১-৪) বিরুদ্ধে তাদের মাটিতে হারের সামনে পড়তে হয়। এমনটা তখন হয় যখন মনে হচ্ছিল যে এটা বিরাট কোহলির দলের কাছে নিজেদের রেকর্ড উন্নত করার দুর্দান্ত সুযোগ ছিল।
এটা প্রশ্ন করায় যে ভারতের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জেতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা নিয়ে শাস্ত্রী বলেন, “ আপনাকে আপনার ভুলগুলো থেকে শিখতে হবে। যখন আপনি বিদেশ সফরে যান আর যখন আপনি আজকাল বিদেশ সফরকরা দলগুলিকে দেখেন তো তখন যথেষ্ট এমন দলনেই যারা বিদেশে ভালো ফল করে”।
তিনি আরও বলেন, “ অস্ট্রেলিয়া ১৯৯০ এর দশক আর আগামি দশকে কিছু সময় এমনটা করেছিল।দক্ষিণ আফ্রিকাও কিছু সময় এমনটা করতে সফল থেকেছে আর এই দুজন ছাড়া গত পাঁচ ছয় বছরে আপনি বলুন কোন দল বিদেশের মাটিতে ভালো প্রদর্শন করেছে।তাহলে ফের ভারতের নামই কেনও নেওয়া হচ্ছে?”
এটা প্রশ্ন করায় যে তিনি বা অধিনায়ক কোহলি কি দলের সঙ্গে কথা বলেছেন যে কেনও তাদের দক্ষিণ আফ্রিকা আর ইংল্যান্ডে হারের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তা নিয়ে শাস্ত্রী বলেন, “ আমরা বড় সুযোগের ফায়দা তোলার ব্যাপারে কথা বলেছি। যদি আপনি টেস্ট ম্যাচগুলিকে দেখেন তো ফলাফল আপনাকে আসল গল্প জানায় না। বেশ কিছু ক্লোজ টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়েছে আর কিছু বড় মুহুর্তকে আমরা খারাপভাবে হারিয়েছি যে কারণে শেষে আমাদের সিরিজ হারতে হয়”।
শাস্ত্রী এটা মানতে অস্বীকার করেছেন যে গত কিছু মাসে যা হয়েছে তাতে অস্ট্রেলিয়া দল নিজেদের চমক হারিয়েছে। তিনি বলেন, “আমার এমনটা মনে হয় না। আমার মনে হয় যে যদি একবার আপনার ভেতর খেলার সংস্কৃতি চলে আসে তো এটা সবসময়ই থাকে।আমার সবসময়ই এটা মনে হয়েছে যে ঘরের মাঠে কোনও দলই কমজুরি হয়না। ভগবান না করুক এমনটা হোক কিন্তু হতে পারে যখন কোনও দল ভারতে আসে তো আমাদের তিন বা চার খেলোয়াড় খেলেন না কিন্তু কেউ যদি এটা ভাবে যে এটা কমজুরি দল তো আপনাকে অবাক হওয়ার পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে”।
শাস্ত্রী সতর্ক করে বলেন, “ এই ভাবে আমরা কোনও অপরাধীর বিরুদ্ধে লড়াই করছি না,আর আমরা মাঠে নিজেদের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রদর্শন করে চাই।বাইরের জিনিসের জায়গায় নিজেদের খেলায় ধ্যান লাগাতে চাই”।
ভারতীয় কোচের বিশ্বাস যে তাদের জোরে বোলারদের অস্ট্রেলিয়ার পিচে বোলিং করতে মজা আসবে। তিনি বলেন, “ আমার মনে হয় যে যদি অতীতের পিচের মত হয় তো ওদের (জোরে বোলারদের) এই পিচে বোলিং করতে মজা লাগবে। একটি দল হিসেবে ফিট থাকা গুরুত্বপূর্ণ”। শাস্ত্রী সংকেত দিয়েছেন যে আহত হার্দিক পান্ডিয়ার অনুপস্থিতি তাকে একজন অতিরিক্ত বোলার খেলানোর সুযোগ কম করে দিয়েছে।
এই প্রাক্তণ অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, “ আমরা একজন খেলোয়াড়ের অভাব অনুভব হবে আর তিনি হলেন আহত হার্দিক পান্ডিয়া। ও বোলার আর ব্যাটসম্যান হিসেবেও আমাদের ভারসাম্য দেয় যে কারণে আমরা অতিরিক্ত বোলার খেলাতে পারি।আশা করছি যে ও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে আর যদি জোরে বোলাররা ভালো প্রদর্শন করে তো আমরা ওর অভাব অনুভব করব না”।
শাস্ত্রী বললেন, বেশ কিছু দল বিদেশের মাটিতে ভালো ফল করতে পারছে না, তাহলে ভারতের উপর নিশানা কেনও
