ভারতীয় ক্রিকেট দলের জোরে বোলিং ইউনিটি বর্তমান সময়ে দুর্দান্ত। তিন ফর্ম্যাটে ভারতীয় বোলারদের বিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলতে দেখা যায়। সিনিয়র বোলাররা ছাড়াও শার্দূল ঠাকুরের মতো প্রতিভাবান বোলাররাও রয়েছেন। শার্দূল কিউয়ি দলের বিরুদ্ধে খেলা হওয়া চতুর্থ টি-২০ ম্যাচে ৭ রান বাঁচিয়ে সকলেকেই নিজের বোলিংয়ের ফ্যান বানিয়ে ফেলেছিলেন। এখন এই খেলোয়াড় আগামী টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের দলে দেখছেন।
আমার পজিটিভিটি দলকে বিশ্বকাপ জেতাতে সাহায্য করতে পারে
জোরে বোলার শার্দূল ঠাকুরকে সিনিয়র বোলার ভুবনেশ্বর কুমারের আহত হয়ে দলের বাইরে চলে যাওয়ার পর স্কোয়াডে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এরপর যখনই এই বোলার সুযোগ পেয়েছেন, তিনি না কেবল বোলিংয়ে বরং ব্যাটিংয়েও ভারতকে জয় এনে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এখন এই তরুণ বোলার আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২০তে টিম ইন্ডিয়ায় নিজের ভূমিকার ব্যাপারে বলতে গিয়ে বলেন,
“স্বাভাবিকভাবেই আমার মনোযোগ বিশ্বকাপের দিকে রয়েছে। আমি যে পজিটিভিটির সঙ্গে ম্যাচে যাই আর আমার যেমন আত্মবিশ্বাস আর প্যাশন রয়েছে তাতে আমি দলকে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন করতে বা ভালো প্রদর্শন করতে সাহায্য করতে পারি। নিশ্চিতভাবেই আইপিএল গুরুত্বপূর্ণ আর আইপিএলে আমরা যে ছন্দ পাব সেটা গুরুত্বপূর্ণ হবে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজ রয়েছে আর আমরা আইপিএলের পর জিম্বাবোয়ে যাচ্ছি। টি-২০ বিশ্বকাপের আগে আমরা এশিয়া কাপেও খেলব”।
আইপিএলের ছন্দ আসবে কাজে
আইপিএল ২০২০র শুরু ২৯ মার্চ থেকে হবে। শার্দূল আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংস দলের অংশ। এখন আইপিএলে ফর্ম নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শার্দূল বলেছেন যে,
“আইপিএলে আমরা যে ছন্দ পাব সেটা গুরুত্বপূর্ণ হবে আর তাকে বজায় রাখতে হবে। আমি নিজের ভুলের অধ্যায়ন করব আর তা থেকে শেখাকে অভিজ্ঞতা হিসেবে নেব। এটা আমার নিউজিল্যান্ডের প্রথম সফর ছিল আর অন্য খেলোয়াড়দের তুলনায় আমি ভারতের হয়ে বেশি খেলিনি”।
ব্যাটিং করতে পারি আমি
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলা হওয়া টি-২০ সিরিজে শার্দূল ঠাকুর টিম ইন্ডিয়ায় প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে শার্দূল নিজের বোলিংই শুধু নয় ব্যাটিংয়ের সাহায্যেও টিম ইন্ডিয়াকে জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাকে যখনই ব্যাটিংয়ে সুযোগ দেওয়া হয় তিনি কম বলে বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন। এই ব্যাপারে শার্দূল বলেন,
“আমার সবসময় মনে হয় যে আমি ব্যাটিং করতে পারি আর দলে উপযোগী যোগদান দিতে পারি। যখনই আমি স্কুল, কলেজ বা ঘরয়া দলের হয়ে খেলেছি আমার ভূমিকা বদলায়নি। এখন আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছি। এখানেও আমার ভূমিকা একই থাকবে। আমি যখনই ব্যাটিংয়ের জন্য নামি, আমার চেষ্টা থাকে পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার”।