শার্দুল ঠাকুর নামটা ক্রিকেট নৈপুণ্যের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে যতটা না জনপ্রিয় হয়েছে হালফিলে তার থেকেও বেশি পরিচিত হয়েছে বিতর্কের জন্য। বিতর্কের জন্ম হয়েছিল খুবই এক সেনসিটিভ ইস্যু নিয়ে । শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে যখন নীল রঙের ভারতের জার্সি পরে তিনি মাঠে নামেন তখন টেলিভিশনের পর্দায় কিংবা স্টেডিয়ামে সকলের নজর চলে গেছিল তার জার্সি নাম্বারের উপর। জার্সি নাম্বার টা ছিল ‘নাম্বার টেন’
এতক্ষন পাঠক যারা মনোযোগ দিয়ে পড়ছেন তাদের আর বুঝতে অসুবিধা নাই বিতর্কের কারন টা জানতে। তবুও বাকিদের জ্ঞাতার্থে জানানো যাক: দশ নম্বর জার্সি পরে আড়াই দশকের বেশি ধরে ভারতীয় টিমকে রক্ষা করে এসেছিলেন যিনি তিনি আর কেউ নন , ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বশ্রেষ্ঠ রোলমডেল , কিংবদন্তি সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। এই নম্বরের জার্সি পরেই দিনের পর দিন একা কুম্ভ হয়ে ভারতীয় ক্রিকেটকে আগলে রেখেছেন তিনি। তাই হটাৎ করে একজন আনকোরা ক্রিকেটার এই জার্সি পরে মাঠে নামতেই মুহূর্তের মধ্যে তা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সবাই যতনা বিস্মিত তার থেকেও ক্রুদ্ধ হয়েছেন অনেক বেশি। যতই হোক মাস্টার ব্লাস্টার সচিনের জার্সি বলে কথা। কত জনের কত আবেগ লুকিয়ে আছে তার সাথে।
সেদিন যদিও বল হাতে খুব একটা খারাপ পারফরম্যান্স করেননি শার্দুল ঠাকুর। সাত ওভার হাত ঘুরিয়ে 23 রানে এক উইকেট নেন তিনি। আজ এতদিন পরে মিডিয়ার কাছে ব্যাপারটা খোলসা করলেন তিনি। তাঁর জন্ম তারিখ 16/10/1991 যা যোগ করলে দশ হয় (16+10+1991=10)। তবে সাথে সাথে এও জানান যে ভবিষ্যতে আর দশ নম্বর জার্সি তিনি পরবেন না। পরবেন 54 নম্বরের জার্সি। তবে এরফলে চিড়ে কতটা ভিজবে সে নিয়ে সন্দেহ থেকেই গেল।
নিউজিল্যান্ডের সাথে চলা ওয়ানডেতে দলে আছেন তিনি যদিও প্রথম ম্যাচে প্লেয়িং ইলেভেনে তার নাম ছিলোনা। এখন দেখার ভবিষ্যতে বিতর্ক দূরে রেখে খেলায় কত উন্নতি করতে পারেন তিনি। উল্লেখ্য, ভারতের ডোমেস্টিক ক্রিকেটে শার্দুল ঠাকুর পরিচিত এক নাম। মহারাষ্ট্রের পালঘারে জন্ম নেওয়া ডানহাতি এই মিডিয়াম পেসার নিজের ক্রিকেট কেরিয়ার শুরু করেন 2012 তে রাজস্থানের বিরুদ্ধে। 49 টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলে তার উইকেট শিকারের সংখ্যা 169। মুম্বাইয়ের প্রথম দলের নিয়মিত এই সদস্য গতবছরের রঞ্জি জয়ী মুম্বাই দলেরও অন্যতম সদস্য। ফাইনালে সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে 8 উইকেট নিয়ে মুম্বাইয়ের একচল্লিশতম রঞ্জি জয়ের অন্যতম কারিগর তিনি। আইপিএলে 2015 সিজনে কিংস-ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে অভিষেকের পর বর্তমানে তিনি খেলেন পুনে সুপার জায়ান্টসের হয়ে। এর আগে ভারতের এ দলের হয়ে সাউথ আফ্রিকাতে বল হাতে নজর কেড়েছেন তিনি।