অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসন ২০১৮ আইপিএল মরশুমের ফাইনাল ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে অপরাজিত ১১৭ রানের ইনিংস খেলে চেন্নাই সুপার কিংসকে এই খেতাব এনে দেন। ওয়াটসনের শতকীয় ইনিংসের সৌজন্যেই সুপার কিংস তৃতীয়বার এই খেতাব নিজের নামে করে নেয়। কিন্ত এর মধ্যে চেন্নাই সুপার কিংসের কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং শেন ওয়াটসন এবং নিজেদের সিনিয়র প্লেয়ারদের নিয়ে এমন একটি বয়ান দিয়েছে যাতে তিনি এই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তারা ২০১৯ আইপিএলের আগে নিজেদের কিছু সিনিয়র প্লেয়ারকে রিলিজ করে দিতে পারেন।
শেন ওয়াটসন এবং হরভজন সিংকে রিলিজ করার ইঙ্গিত
ওয়াহ ক্রিকেটের একটি রিপোর্টের অনুযায়ী চেন্নাই সুপার কিংসের কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং আগামি বছরের জন্য নিজের রণনীতিতে পরিবর্তন করার ঈঙ্গিত দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি হরভজন এবং ওয়াটসনের মত প্লেয়ারদের আগামি আইপিএলের আগেই রিলিজ করার সংকেতও দিয়েছেন। ফ্লেমিং নিজের এক বয়ানে বলেন, “ আমরা এই আইপিএলে অভিজ্ঞ প্লেয়ারদের কেনার রণনীতি বানিয়েছিলাম, যা আমাদের জন্য ভীষণই উপযোগী প্রমানিত হয়েছে, এবং আমরা ফাইনাল জিতেছি”।
আগামি বছর নামতে পারি আলাদা রণনীতি নিয়ে
আগে স্টিফেন ফ্লেমিং আরও জানান, “ প্রতিটা আইপিএলই আলাদা হয়, এবং প্রতিটা আইপিএলেওই দলের আলাদা আলাদা রণনীতি হওয়া উচিৎ। এই বছর আইপিএলে আমাদের অভিজ্ঞ প্লেয়ারদের রণনীতি কাজ করেছে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে আগামি আইপিএলে আমি অন্য কোনও রণনীতি নিয়ে নামব না। শেন ওয়াটসন এবং হরভজন সিংয়ের মত অভিজ্ঞ খেলায়াড়রা আমাদের জন্য এই আইপিএলে দারুণ প্রদশর্ন করেছেন। কিন্তু আগামি বছর আমাদের রণনীতি কিছু আলাদাও হতে পারে”।
প্রধান ১১ জন প্লেয়ারের গড় বয়েস ছিল ৩৪
আপনাদের জানিয়ে রাখা ভাল যে চেন্নাই সুপার কিংসের গুরুত্বপূর্ণ ১১ জন প্লেয়ারের বয়েস ছিল ৩৪ বছর। সুপার কিংসের দলে যেখানে ইমরান তাহিরের বয়েস ৩৮ বছর ছিল, সেখানে হরভজনের বয়েস ছিল ৩৭। ধোনির বয়েস ৩৬, ব্র্যাভোর ৩৪, দু’প্লেসির ৩৩, রায়নার ৩১, রায়ডু এবং কেদার যাদবের ৩১, এবং জাদেজার বয়েস ছিল ২৯।