গত টি২০ ম্যাচে বিতর্কের বড় জায়গা হয়ে দাঁড়ায় কনকাশন সাবস্টিটিউট হিসেবে রবীন্দ্র জাদেজার পরিবর্তে যুজবেন্দ্র চাহালের আগমণকে নিয়ে। একদিকে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেছিলেন জাদেজা, অন্যদিকে বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার তিনটি বড় উইকেট নিয়েছিলেন চাহাল, যার মধ্যে রয়েছে অ্যারন ফিঞ্চ ও স্টিভ স্মিথের উইকেট। এই নিয়ে বিতর্ক চুড়ান্ত পর্যায়ে গিয়েছিল ম্যাচের মধ্যে এবং ম্যাচ শেষে।
বিতর্কটি আরও বাড়ে, যখন ব্যাটিং করার সময় পায়ে বেশ কয়েকবার ব্যাথা অনুভব করছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে তিনি ব্যাটিং করেন। কিন্তু সেই চোটের কারণে পরিবর্ত কাউকে নামানো সম্ভব নয়। তাই শেষ ওভারে হেলমেটে আঘাত খাওয়ার জেরে কনকাশন সাবস্টিটিউট হিসেবে যুজবেন্দ্র চাহালকে নামিয়ে দেয় টিম ইন্ডিয়া, যা একপ্রকার শাপে বর হয়ে যায়। আর সেই আবেদন মঞ্জুরও করে দেন আইসিসি ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন।
এই নিয়ে একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটাররা আওয়াজ তুলেছেন এবং নিয়মের পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু এবার এই নিয়মের ফাঁক নিয়ে অদ্ভুত মন্তব্য করে বসলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরেকর। গত এক বছরে বেশ কয়েকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি। আর এবার কনকাশন সাবস্টিটিউট নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন মাঞ্জরেকর। সুবিধার জন্য খেলোয়াড়রা নিয়মের ফাঁক খুঁজতে সিদ্ধহস্ত, এমনই কথা বলেছেন মাঞ্জরেকর।
প্রথম টি২০ ম্যাচ শেষে সম্প্রচারকারী সংস্থা সোনির পোস্ট ম্যাচ বিশ্লেষণ শোয়ে সঞ্জয় মাঞ্জরেকর জানিয়েছেন যে টিম ইন্ডিয়া অনেক বেশি খুশি হয়েছে চাহালকে বোলিংয়ের জন্য পেয়ে। এই নিয়ে মাঞ্জরেকর বলেছেন, “অত্যন্ত খুশি যে চাহাল সুযোগ পেয়েছেন এবং আমার মনে হয় বিরাট কোহলিও সেটি মেনে নিয়েছেন, কারণ ভাগ্যের পরিহাসে, ওনারা একজন ভালো বোলার পেয়েছেন এমন একজনের জায়গায় যিনি নিজের চার ওভার বল করতে পারতেন না। চাহাল একটি বড়সড় বোনাস ছিল দলের জন্য এবং সৌভাগ্যবশত ভারত ১৬০ এর গন্ডি টপকেছিল যার ফলে এটি সম্ভব হয়েছে।”
এরপর কনকাশন সাবস্টিটিউটের নিয়ম নিয়ে বিতর্কের বিষয়ে মাঞ্জরেকর বলেছেন, “কিন্তু এরপর, কনকাশন সাবস্টিটিউট নিয়ে আরও কিছু ভাবনা চিন্তা শুরু হবে। এই পুরো বিষয়টি নিয়ে ভাবা শুরু হবে কারণ আমরা খেলোয়াড় হিসেবে, সকলেই জানে, নিয়ম তৈরি করা ভালো স্বার্থের জন্য, কিন্তু আমরা সেই নিয়মের ফাঁক খুঁজতে সিদ্ধহস্ত। ভারত এই বিষয়টিতে কোনও সুবিধা নিয়েছে কিনা, আমরা তা জানি না, কিন্তু এটি এমন একটি বিষয় যা আইসিসির দেখা উচিত। যার ফলে কোনও দল যাতে বাড়তি সুবিধা না পায়।”