বিশ্ব ক্রিকেটে যখনই সেরা ফিনিশারের কথা ওঠে, তো সবার প্রথম নাম ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির আসে। মহেন্দ্র সিং ধো ই নিজের ফিনিশ করার দক্ষতায় সম্পূর্ণ ক্রিকেট জগতকে আকর্ষিত করেছেন। যদিও ক্রিকেট জগত বেশকিছু বড়ো ম্যাচ ফিনিশার পেয়েছে, কিন্তু তাদের মধ্যে মহেন্দ্র সিং ধোনির নাম ভীষণই স্পেশাল।
মহেন্দ্র সিং ধোনিকে মনে করা হয় সবচেয়ে দুর্দান্ত ফিনিশার
২০০৪ এ মহেন্দ্র সিং ধোনি যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শুরু করেছিলেন তো তিনি একজন ভীষণই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান ছিলেন। তিনি নিজের কেরিয়ারের শুরুর কিছু বছরে এক সে এক ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। কিন্তু যেমন যেমন সময় এগিয়েছে ধোনি নিজের দায়িত্বকে বুঝেছেন আর দলের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। অধিনায়ক হওয়ার পর তো ধোনি ভীষণই পরিপক্ক ব্যাটসম্যান হয়ে যান যিনি সবসময়ই ম্যাচ শেষ করার ব্যাপারে ভেবেছেন।
সঞ্জয় বাঙ্গার মহেন্দ্র সিং ধোনির প্রশংসা করলেন
ধোনির এই যোগ্যতার ব্যাপারে ভারতের প্রাক্তন ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার কথা বলেছেন। সঞ্জয় বাঙ্গার মহেন্দ্র সিং ধোনির জমিয়ে প্রশংসা করেছেন আর স্টার স্পোর্টসের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সঞ্জয় বাঙ্গার বলেন যে, “ধোনি গ্রেট ফিনিশার, যখনই ও থাই প্যাড পড়ে তো ও সিঙ্গলস আর ডবলস বেশি নেয়। এরপর বাউন্ডারি মারেন। তিনি অধিনায়কের চেয়েও বেশি গ্রেট লিডার। খেলোয়াড়দের কন্য ওর দরজা সবসময়ই খোলা থাকে। ও নিজের ভাবনা কোনো খেলোয়াড়ের উপর চাপিয়ে দেয় না। ও এই বিষয়ের অপেক্ষা করে যে তরুণ খেলোয়াড়োরা নিজে নিজেই নিজেদের ট্রিক্স খুঁজে নেবেন”।
সঞ্জয় বাঙ্গার আগে বলেন যে, “আমি এটা জানতে পেরেছি যে কীভাবে নিজের রচনাত্মক বছরগুলিতে বড়ো হিট করা ধোনি নিজের স্বাভাবিক যোগ্যতাকে প্রতিবন্ধিত করেছে। ও নিজের থাই প্যাডে লিখত ১…২… টিক..টিক…৪…৬… যখনই ও ব্যাটিংয়ের জন্য যায় তো নিজের থাই প্যাডের লেখাকে পড়ে… ও পড়ে যে ওরও এই প্রসেসকে গ্রহণ করতে হবে। এই কারণে সিঙ্গলস আর ডবলস এই গ্রেট ফিনিশারের জন্য জরুরী হয়ে গিয়েছে”।
সিঙ্গলস আর ডবলস নেওয়ার আর্ট ধোনিকে করে তোলে ফিনিশার
ভারতের প্রাক্তন ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার বলেন, “অন্যদিকে সিঙ্গলস আর ডবলস ওকে সেরা ফিনিশার করে তোলে। বিশ্বের অধিকাংশ ফিনিশার সিঙ্গলস আর ডবলসের গুরুত্ব জানেন। আপনি মাইকেল বিভানকে দেখুন, ধোনিকে দেখুন। দুজনের মধ্যে এই বিষয়টাই কমন। এই কারণেই ও ম্যাচ জেতে। এই চার আর ছক্কার কারণে ম্যাচ জেতে না। ধোনি এই প্রসেসকেই গ্রহণ করে। এই মরশুমে আমি ধোনির মধ্যে এই বিষয়টি দেখেছি যে ওর প্রি ডেলিভারি মুভমেন্ট থেমে গিয়েছে। এই কারণে ও বলকে দেখে দেরী করে। যখন আপনার বয়স ৩৮-৩৯ বছর হয় তো আপনাকে পেস বোলারদের বেশি সময় দিতে হয়। যদি ও এই ভাঙন টাকে পূর্ণ করে নেয় তো বল ওর ব্যাটের মাঝামাঝি আসতে থাকবে”।