ইউএইতে খেলা হওয়া এশিয়া কাপে পাকিস্থানের লজ্জাজনক প্রদর্শন নিয়ে এখনও পর্যন্ত পাকিস্থানে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। পাকিস্থানের দর্শকদের পাশপাশি প্রাক্তণ ক্রিকেটারাও নিজের দলের প্রদর্শনে ভীষণই ক্ষুব্ধ।
সইদ আজমল আর সালমন বাট পাকিস্থানকে করলেন তিরস্কার
পাকিস্থান এশিয়াকাপে খারাপভাবে ফ্লপ প্রমানিত হয়েছে আর ফাইনালেও জায়গা করতে পারে নি। পাকিস্থানের এই প্রদর্শন নিয়ে পাকিস্থান দলের উপর প্রাক্তন খেলোয়াড়রা জমিয়ে নিজেদের রাগ প্রকাশ করে চলেছেন।
সেইভাবেই পাকিস্থানের প্রাক্তন স্পিনার বোলার সইদ আজমল আর পাকিস্থানের প্রাক্তণ ওপেনার সালমন বাট জমিয়ে তিরস্কার করেছেন।
আজমল বললেন যে দল পাকিস্থানের নাম ভয় পেত তারা এখন চোখ দেখাচ্ছে
পাকিস্থানের হারের পর একটি পাকিস্থানী চ্যানেলে দেওয়া ইন্টারভিউতে সইদ আজমল বলেন যে
“এগুলো সেই দল যারা একসময় পাকিস্থানের নাম শুনেই হেরে যেত, কিন্তু এখন তাদের বোলাররা আমাদের ব্যাটসম্যানদের চোখ দেখাচ্চছে আর বলছে কিছু করো। এখন আমাদের এটাই সুরত এ হাল হয়ে গিয়েছে। এখন তো হংকংই রয়েছে গিয়ে ওরাও যদি সুযোগ পায় তো ৬ মাসে ওরাও চোখ দেখাবে”।
“এত খারাপ প্রদর্শনে আজ আমার ম্যাচ দেখতে লজ্জা লাগছিল। এটা সেই পাকিস্থানের দল যারা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পয়ন হয়েছিল। আর সরফরাজেরকথা বলি তো অধিনায়কত্ব তো দূরের কথা ওর নিজের পারফর্মেন্সও আপনার সামনে রয়েছে। শেষ ১১টি ম্যাচে ও ১টি পঞ্চাশ রান করেছে তাও ভীষণই মুশকিলে। শেষ পর্যন্ত একটি ৪৪ রানের ইনিংস খেলেছে। আর ভারত্র বিরুদ্ধে তো আমরা এমন খেলি যেনো আমরা ওদের পালিত বাচ্চা। যদিও আমি সেই খেলোয়াড়দের নাম নিতে চাই না, কিন্তু এরা কয়েকজন ভারতের পালিত বাচ্চা”।
গত বেশ কিছু সময় ধরে পাকিস্থান কোনও ভাল দলকে হারায় নি
অন্যদিকে সালমন বাট বলেন যে, “ দেখুন পাকিস্থান গত এক দেড় বছর ধরে কমজুরি দলের বিরুদ্ধে ৮০ শতাংশ ক্রিকেট খেলেছে। ভালো দলের বিরুদ্ধে তো আমরা খেলিই নি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ছাড়া। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও পাকিস্থান ২০০-২০০ রানের স্কোর তাড়া করে ম্যাচ জিতেছে, খালি ফাইনালে ৩০০ রান করতে পারে। পুরো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আপনি একবার ২১১ রান তাড়া করেন। ২৩১ রান আর একবার ২০১ রান তাড়া করেন। এর মধ্যেও আপনি একবার তো বৃষ্টিতে ১০০ র মধ্যে ৬ জন আউট ছিলেন আর ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে জিতেছেন। আর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ক্যাচ পড়েছে আর আমির আর সরফরাজ খেলছিল তো ৭০ রান বাকি ছিল আর ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। ব্যাটিং সমস্যা তো গত বেশ কিছু সময় ধরে চলে আসছে”।
তিনি আরও বলেন,
“ আর ব্যাপার হল এটা যে আপনি ঘরোয়া ক্রিকেট করান কিন্তু সেখানকার প্রদর্শন দেখেন না। আর পিসিএলে ২০০ রান করা খেলোয়াড়কে আপনি দলে শামিল করে নেন। আপনি আসিফ আলির উপরেও শাদাব খানকে পাঠিয়ে দেন ব্যাট করতে। আপনি একজন ব্যাটসম্যানকে দলে নিয়েছে তার উপরে আপনি একজন বোলারকে খেলাচ্ছে তো এর কি মানে দাঁড়ায়”।