২০১৯ এর বিশ্বকাপে ” ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট ” নির্বাচিত হয়েছিলেন কেন উইলিয়ামসন।নিউজিল্যান্ডকে ফের আরেক বার বিশ্বকাপের ফাইনালে নিয়ে যেতে তার ভূমিকা ছিলো অপরিসীম।দলের প্রয়োজনে খেলেছেন একাধিক অধিনায়কোচিত ইনিংস।এমনকি প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপের স্বাদ পাওয়াটা হয়ে যেতো নিউজিল্যান্ডের ,কিন্তু শেষ অবধি ম্যাচে সবচেয়ে বেশী চার মারার বিচারে কাপটা নিয়ে যায় ইংল্যান্ড।ম্যাচের পর এইদিন ” টুর্নামেন্ট সেরা ” র ট্রফিটা উইলিয়ামসনের হাতে তুলে দেন শচীন।সম্প্রতি জানালেন সেই দিন ফাইনালের পর তার সাথে কি কথা হয়েছিল বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের।
ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড।৫০ ওভার শেষে আট উইকেটের বিনিময়ে ২৪১/৮ রান করেন কিউয়িরা।পরবর্তী সময়ে চেজ করতে নেমে ২৪১ রানে ইনিংস শেষ করে ইংল্যান্ড।পরবর্তী সময়ে ম্যাচ যায় ” সুপার ওভার ” এ।সেখানেও দুই দলের স্কোর টাই হয় ১৫ রানে।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী সুপার ওভার শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও যদি দুই দলের স্কোর সমান হয়, তখন নজর রাখতে হবে ম্যাচে মারা বাউন্ডারির দিকে।এক্ষেত্রে এদিন এগিয়ে ছিলো ইংল্যান্ড ২৬ টি বাউন্ডারি মেরে।যেখানে নিউজিল্যান্ডের মারা বাউন্ডারির সংখ্যা ছিলো ১৭ টি।
এদিন ম্যাচ শেষে টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটারের শিরোপাটি উইলিয়ামসনের হাতে তুলে দেন কিংবদন্তী ভারতীয় ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকর।ম্যাচের পর তিনি নিউজিল্যান্ডের অধিনায়কের উদ্দেশ্যে বলেন, “তোমার খেলার প্রশংসা সকলের মুখে, তুমি একটি অসাধারণ বিশ্বকাপ সকলকে উপহার দিলে”। ৫৭৮ রান।হ্যা, চলতি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের হয়ে উইলিয়ামসনের সংগ্রহ রান সংখ্যা এইটি।যা বিশ্বকাপে করা একজন অধিনায়কের সর্বোচ্চ রান।
পরবর্তী সময়ে তার প্রশংসা করে শচীন তেন্ডুলকর বলেন, উইলিয়ামসনের সবচেয়ে প্রশংসনীয় বিষয়টি হলো ওর শান্ত থাকা।ম্যাচর যেকোনো পরিস্থিতিতে ওর মাথা ঠান্ডা রাখা ওকে বাড়তি সাহায্য করে।এইটা খুবই দুর্ভাগ্যর বিষয় যে ও বিশ্বকাপ জেতেনি, কিন্তু তা নিয়ে কোনও রকম বিষাদ ওর চোখে মুখে লক্ষ্য করা যায়নি ” ।
২০১৯ এর বিশ্বকাপে আমরা নিউজিল্যান্ডের হাতেই বিশ্বকাপ দেখতে চলেছিলাম।কিন্তু নিয়মের বেড়াজালে পড়ে শেষ অবধি কাপটা হাত ছাড়া হয়ে গেল তাদের।