আজকের আধুনিক ক্রিকেটে টেকনোলজি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তার প্রমাণ বারংবার মিলেছে। অনেক সময় আম্পায়ারদের ভুলে ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যান কিংবা বেঁচে যান। কিন্তু ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমের আগমণে এবার সেই ভুল শুধরানোর সুযোগ থাকে ক্রিকেটারদের কাছে। আর তার জেরে অনেক সময়ই নিজেদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন আম্পায়াররা। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হয়েছে এই ডিআরএস সিস্টেমের মাধ্যমে।
তবে এই রিভিউ সিস্টেম নিয়ে খুশি নয় অনেকেই। খোদ বিসিসিআইও একসময় এই ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমের বিরুদ্ধে ছিল, কিন্তু পরবর্তীকালে তারাও এই রিভিউ সিস্টেমকে স্বীকৃতি দেয় এবং ঘরোয়া সিরিজে তা উপযোগ করেন। কিন্তু এখনও অনেকেই এই রিভিউ সিস্টেমের কিছু নিয়ম নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট। আর এবার চলতি বর্ডার গাভাস্কার ট্রফির দ্বিতীয় টেস্টে এমনই একটি সিদ্ধান্ত দেখে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন শচিন তেন্ডুলকর।
দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন মার্নাস লাবুশানে। আর শুরুতেই তাকে এলবিডব্লু করে দিয়েছিলেন তরুণ পেসার মহম্মদ সিরাজ, কিন্তু আম্পায়ার সেটি নট আউট দেন। এরপর অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে রিভিউ নিলে দেখা যায়, বল উইকেটে লাগলেও সেটি আম্পায়ারস কল ছিল, আর তার ফলে ভারতের রিভিউ নষ্ট না হলেও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তটি রয়ে যায়। আর এর ফলে বেঁচে যান মার্নাস লাবুশানে।
Not a bad review by India, but it's not enough to secure of the wicket of Labuschagne.
Live #AUSvIND: https://t.co/0nwGP4uO49 pic.twitter.com/wuq7xwTIrz
— cricket.com.au (@cricketcomau) December 28, 2020
আর এর ফলে বেশ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কিংবদন্তী ভারতীয় ক্রিকেটার শচিন তেন্ডুলকর। তার মতে, আম্পায়ারের বিরুদ্ধেই যখন রিভিউ নেওয়া হচ্ছে, তাহলে কেন আম্পায়ারস কল বলে বিষয়টি উপলব্ধ থাকবে। এই নিয়ে নিজের টুইটারে মাস্টার ব্লাস্টার লিখেছেন, “খেলোয়াড়রা রিভিউ নেন কারণ তারা অন ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অখুশি। এই ডিআরএস সিস্টেমটিকে আরও একবার পর্যালোচনা করার দরকার আইসিসির, বিশেষ করে আম্পায়ারস কল বিষয়টি।”
The reason players opt for a review is because they’re unhappy with the decision taken by the on-field umpire.
The DRS system needs to be thoroughly looked into by the @ICC, especially for the ‘Umpires Call’.#AUSvIND— Sachin Tendulkar (@sachin_rt) December 28, 2020
এই রিপোর্টটি লেখার সময় অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল ৩৬ ওভারে ৮৩/৩। ব্যাট করছিলেন ম্যাথু ওয়েড ৩৪ (১১৯) এবং ট্রাভিস হেড ৮ (৯)।