ওয়েস্টইন্ডিজ দল হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন ৭ উইকেটে হারিয়ে ২৯৫ রান তুলে ফেলেছে। এই ম্যাচে তাদের ব্যাটসম্যান রোস্টন চেজ ৯৮ আর দেবেন্দ্র বিশু ২ রান করে অপরাজিত থাকেন। সবচেয়ে বড় সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ (১০৪) অধিনায়ক জেসন হোল্ডার আর রোস্টন চেজের মধ্যে হয়েছে।
টস জিতে প্রথম ব্যাট করতে নামা ওয়েস্টইন্ডিজ দল নিজের প্রথম উইকেট ৩২ রানে কায়রণ পোলার্ডের (১৪) রূপে হারায়। অন্যদিকে ৫২ রানের স্কোরে দ্বিতীয় ওপেনার ব্যাটসম্যান ক্রেগ ব্রেথওয়েট (২২)ও আউট হয়ে যান। শাই হোপ ৩৬ রান করে দলের ৮৬ রানের মাথায় আউট হয়ে যান। চতুর্থ নাম্বারে ব্যাট করতে আসা শিমরণ হেটমেয়রও ১২ রান করে আউট হন। সুনীল অম্বরিশও ১৮ রান করে আউট হন।
এরপর ব্যাট করতে আসা রোস্টন চেজ ৯৮ রান করে এখনও ক্রিকেট উপস্থিত রয়েছেন। রোস্টন চেজ আর ডাওরিচের মধ্যে ৬৯ রানের পার্টনারশিপ হয়। ডাওরিচ ৩০ রান করে আউট হয়ে যান। ডাওরিচের পর ব্যাট করতে আসা অধিনায়ক জেসন হোল্ডার আর রোস্টান মিলে ১০৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। যার ফলে স্কোর ৩০০ রানের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। হোল্ডার ৫২ রান করে উমেশ যাদবের বলে আউট হয়ে যান।
নিজের ইনিংস নিয়ে এই কথা বললেন রোস্টন চেজ
রোস্টন চেজ রাজকোট টেস্ট ম্যাচে একটি হাফসেঞ্চুরি ইনিংস খেলেছিলেন। অন্যদিকে এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসেও তিনি সেঞ্চুরির কাছাকাছি রয়েছে। নিজের এই ইনিংস নিয়ে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রোস্টন বলেন,
“আমি খালি আমার সময় নিয়েছি। প্রথম ম্যাচে আমি বেশি দ্রুত মারার চেষ্টা করছিলাম, যা কিনা খেলার প্রয়োজন ছিল না। আমি নিজের কোচের সঙ্গে যথেষ্ট মেহনত করেছি। ব্যাস খালি প্রক্রিয়া আর খেলায় বিশ্বাস করার প্রয়োজন হয়। যার পরিণাম আমরা পাই। ক্যারিবিয়াতে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে স্পিনারাই প্রভাব ফেলে এই কারণে স্পিন খেলার অভ্যেস হয়ে গিয়েছে আমার। আমি ভেবেছিলাম যে এই উইকেটে বল যথেষ্ট স্পিন হবে”।
অন্যদিকে রোস্টন কালকের পরিকল্পনার ব্যাপারে জানিয়েছেন যে তারা বিচারবিমর্শ করবেন।