ভারতীয় ক্রিকেট দল ২০০৭ এ খেলা হওয়া প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপকে নিজেদের নামে করেছিল। মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কত্বে ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলা হওয়া প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপের খেতাবকে ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে জিতেছিল। এই জয়কে ভারতীয় ক্রিকেট ইতিসের সবচেয়ে সেরা মুহূর্তগুলির একটি মনে করা হয়।
রোহিত শর্মা করলেন ২০০৭ বিশ্ব টি-২০র সঙ্গে যুক্ত ঘটনাকে স্মরণ
ভারত ২০০৭ এ খেলা হওয়া টি-২০ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত প্রদর্শন করেছিল আর দেশের মানুষকে একটি গৌরবান্বিত অনুভব এনে দিয়েছিল। এই জয়ের স্মৃতি আজ পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত সকলের মনে টাটকা রয়েছে। আমরা প্রায়ই ওই বিশ্বকাপের পর ভারতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের দ্বারা এই বিশ্বকাপের সঙেগ যুক্ত স্মৃতিকে স্মরণ করতে দেখেছি, সেইভাবেই এবার ভারতীয় দলের বর্তমান সীমিত ওভারের সহঅধিনায়ক রোহিত শর্মা ওই স্মৃতিকে স্মরণ করেছেন।
রোহিত শর্মা হোটেলের বাইরে সমর্থকদের ভিড় দেখে প্রকাশ করেছিলেন বিস্ময়
রোহিত শর্মা আজ তো ভারতীয় ক্রিকেট দলের সবচেয়ে সেরা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে একজন, কিন্তু ওই টি-২০ বিশ্বকাপে তার অভিষেক হয়েছিল। রোহিত শর্মার জন্য প্রথমবার ছিল যখন তিনি ভারতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটের অংশ হয়েছিলেন। ফলে তার জন্য অনেকটাই নতুন অভিজ্ঞতা ছিল। রোহিত শর্মা ওই বিশ্বকাপে খেলা নিজের সতীর্থ খেলোয়াড় ইরফান পাঠানের সঙ্গে লাইভ চ্যাট চলাকালীন একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন যাতে তিনি অবাক হয়ে গিয়েছিল। রোহিত শর্মা ইরফানের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন যে কীভাবে তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল ম্যাচ জেতার পর অবাক হয়ে গিয়েছিলেন।
ইরফান পাঠানের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে করেছেন খোলসা
রোহিত ইরফান পাঠানের সঙ্গে লাইভ চলাকালীন বলেন, “অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে জয়ের পর আমি অবাক হয়েছিলাম। আমি স্টেডিয়ামে ভিড় দেখেছিলাম, কিন্তু সেখানে হোটেলের বাইরেও ভিড় ছিল। এমনটা স্রেফ ভারতে হতো। আমি প্রথমবার দেশের বাইরেও এমনটা হতে দেখি। এটা সেই মুহূর্ত ছিল যখন আমার অনুভব হয়েছিল যে আমরা কী হাসিল করেছিল। এটা সমর্থকদের পাগলামী যে আমাদের ভালো প্রদর্শনের জন্য প্রেরণা দেয়”। এরপর রোহিত শর্মা নিজের স্বপ্ন নিয়ে বলেন যে, “পরের দু-তিন বছরে তিনটি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা যেখানে আমি সমর্থকদের কিছু দুর্দান্ত স্মৃতি দিতে চাই। তাদের ভালোবাসা আমাদের জন্য ভীষণই জরুরী। আমরা সবসময় আমাদের সমর্থকদের কিছু বিশেষ জয় দিতে চাই। আগামি তিন বছরে তিনটি বিশ্বকাপ রয়েছে, আমরা কম সে কম দুটি কেনো তিনটি বিশ্বকাপ জিততে চাইব যাতে সমর্থকরা খুশি হতে পারেন”।