ঘরের দরজায় কড়া নাড়া এশিয়া কাপের এবারের আসরে বিরাট কোহলিকে বিশ্রামে রেখেই দল ঘোষণা করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। কোহলি না থাকায় দলের অধিনায়ক হিসেবে রাখা হয় রোহিত শর্মার নাম।
২০১৩ সালের পূর্বেও রোহিত শর্মা ভারতীয় টীমের হয়ে আহামরি পারফর্ম না করতে পারলেও মুম্বাইয়ের এই ব্যাটসম্যান নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন দিনকে দিন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গড়েছেন রেকর্ডের পর রেকর্ড।
এবার দেখে নেওয়া যাক তাঁর এই ঘুরে দাঁড়ানোর চারটি জায়গা, যেখান থেকে টিম ইন্ডিয়ার ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেছেন রোহিত।
৪. ২০১১ বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়া

বিশ্বকাপ শুরুর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হন রোহিত। যার কারণে বিশ্বকাপের ১৫ সদস্যের দলে জায়গা করে নিতে পারেননি এই ওপেনার। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান দলে ফেরার জন্য মরিয়া ছিলেন সবসময় যার ফলে নিজের কঠোর পরিশ্রম ও কৌশলকে কাজে লাগিয়ে তিনি পুনরায় দলে ফিরতে সক্ষম হন।
৩. প্রথম দ্বিশতক হাঁকানো

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে যখন ভারতীয় টীম ব্যাটিং করতে নামে। তখন শুরুর দিকেই ধবন আউট হয়ে মাঠের বাইরে চলে গেলে কোহলিকে নিয়ে অজিদের বোলিং লাইনআপ একাই গুঁড়িয়ে দেন রোহিত। ১২টি চার ও ১৬টি ছয়ের সাহায্যে তাঁর করা দ্বিশতকের উপর ভর করে টিম ইন্ডিয়া অস্ট্রেলিয়ানদের পাহাড়সম টার্গেট ছুঁড়ে দিলে ৫৭ রানের জয় নিয়ে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় ভারত। তাঁর ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিতে এই ডাবল সেঞ্চুরি ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
২. মুম্বাইর হয়ে ধৈর্য্যের সাথে দলের নেতৃত্ব দেওয়া

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ঝাঁঝালো পারফর্ম কড়া রোহিত আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। ২০১৩ সালে মুম্বাইয়ের ক্যাপ্টেনের ভার তুলে দেয়া হয় রোহিত শর্মার হাতে। ঐ বছরই মুম্বাই তাঁদের প্রথম শিরোপা ঘরে তোলে বিশ্বসেরা এই ঘরোয়া লিগে। রোহিত শর্মা যখন নিজেকে ঠিক মেলে ধরতে পারছিলেন না তখন আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলে তাঁকে ভিড়িয়ে দায়িত্ব ও পরিপক্ক করে তোলার ক্ষেত্রে সাহায্য করে।
১. ওপেনিং পজিশনে ব্যাটিং করা

অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বসেরাদের তালিকায় থাকা মহেন্দ্র সিং ধোনি বুঝতে পেরেছিলেন ওপেনিং পজিশনে ব্যাটিং করার জন্য একজন যোগ্য ব্যাটসম্যান হতে পারেন রোহিত। ২০১২ সাল পর্যন্ত ৮৬ ম্যাচ খেলে ৩০.৪৩ গড়ে ১৯৭৮ রান করা রোহিত ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে এখন পর্যন্ত ওপেনিং পজিশনে ব্যাটিং করে ১৬টি সেঞ্চুরি সহ ৫৬.১১ গড়ে রান করেছেন ৪৭৭০। ২০১৩ সালের পর থেকে ইনিংস শুরু করতে নামা এই ব্যাটসম্যান প্রতিপক্ষ বোলারদের তুলোধুনা করে তাঁর জাত চিনিয়েছেন মাঠে।