আইপিএলে সুপার সান্ডের দ্বিতীয় ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দুর্দান্ত প্রদর্শন করেছে। আইপিএলের এটি এই মরশুমের শেষ লীগ ম্যাচ খেলা হল। এই ম্যাচ সম্পুর্ণভাবে এক তরফা প্রমানিত হয়েছে। প্রথমে ব্যাট করতে নামা কলকাতা নাইট রাইডার্স দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সামনে ১৩৪ রানের লক্ষ্য রাখে। মুম্বা ইন্ডিয়ান্স দল নিজেদের বোলিংয়ে অনুশাসিত প্রদর্শনের দমে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৭ উইকেটে ১৩৩ রানেই আটকে দেয়।
কোনো একজনের উপর নির্ভর নয়
আইপিএলে বেশ কিছু দল কিছু প্রধান খেলোয়াড়দের উপর নির্ভর থাক। কিন্তু মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে তেমনটা হয়নি। দলের জন্য সমস্ত খেলোয়াড় একসঙ্গে মিলে প্রদর্শন করেছেন। জয়ের পর পয়েন্টস টেবিলে প্রথম স্থানে পৌঁছনোর পর রোহিত শর্মা বলেন,
“এটা দলগত প্রয়াস ছিল যা আমাকে সবচেয়ে বেশি প্রসন্ন করেছে। আমরা কোনো একজন খেলোয়াড়ের উপর নির্ভর নই, আর এটাই আমাদের শক্তি। দলের বেশ কিছু খেলোয়াড় আছে যারা দায়িত্ব নিয়েছে আর তা পুরোও করেছে। আজ পুরো বোলিং আক্রমণ পিচ আর তাদের বিবিধতার উপয়োগ করেছে আর কেকেআরের ব্যাটসম্যানদের ঠান্ডা রেখেছে”।
দ্বিতীয় হাফে ভাল খেলি
তিনবারের আইপিএল খেতাব জয়ী মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স সবসময়ই দ্বিতীয় হাফে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলার জন্য পরিচিত। এই মরশুমেও দলের হারা পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে ২টি প্রথম তিনি ম্যাচের মধ্যে ছিল। রোহিত যা নিয়ে আগে বলেন,
“আমরা এই টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ভাগে সবসময়ই ভাল ফেরত আসি। আমাদের দ্বারা জেতা তিনটি ট্রফির সবকটিতেই ছেলেরা শেষে নিজেদের খেলার স্তরকে বাড়িয়েছে। আইপিএল একটা মজাদার টুর্নামেন্ট, যে কোনো দলই একদিন অন্যকে হারাতে পারে। আর আমরা কিছু ছোটো পদক্ষেপ নিতে চেয়েছিলাম”।
মেয়ের ব্যাপারেও কথা বলেছেন
মুম্বাইয়ের লোকাল বয় রোহিত শর্মা নিজের ঘরের মাঠে এই মরশুমের প্রথম হাফসেঞ্চুরি করেছেন। তার প্রায় চার মাসের মেয়ে প্রত্যেক ম্যাচে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আসত কিন্তু তার ব্যাট থেকে বড়ো ইনিংস বেরয়নি। রোহিত শর্মা এ ব্যাপারে বলেন,
“আমার মেয়ে আমাকে দেখার জন্য প্রত্যেক দিন এখানে আসতে থাকে, কিন্তু আমার রান হচ্ছিল না। আজ কিছু রান হয়েছে কিন্তু ও ঘুমোচ্ছিল”।