ভারত আর বাংলাদেশের মধ্যে চলা তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দারুণ জয়ের সঙ্গে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে তারা সিরিজে ১-০ লীড নিয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই প্রথম টি-২০ ম্যাচ হারার পর এখন ভারতের জন্য সিরিজের বাকি দুই ম্যাচেওই ডু অর ডাই হয়ে গিয়েছে।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের অনুভুত হয়েছে কুলচার অভাব
ভারতীয় দলের দিল্লিতে খেলা হওয়া প্রথম টি-২০ ম্যাচে হারের জন্য খারাপ ব্যাটিং আর খারাপ ফিল্ডিংও দায়ী থেকেছে কিন্তু খারাপ বোলিংকেও উপেক্ষা করা যাবে না। যেখানে একদিকে বাংলাদেশের স্পিন বোলাররা ভারতকে মিডল ওভারে যথেষ্ট সমস্যায় ফেলেছে অন্যদিকে ভারতের স্পিন বোলাররা কোনো বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারেনি। যে কারণে বাংলাদেশ মিডল ওভারে নিজেদের উইকেট বাঁচাতে সফল হয়েছে।
চহেল-কুলদীপের একসঙ্গে না খেলার পরিণাম ভুগলেন রোহিত
ভারতের হয়ে এখানে যতই বিরাট কোহলি উপস্থিত না থাকুন কিন্তু বিরাট কোহলির একটি ভুল কার্যনির্বাহী অধিনায়ক রোহিত শর্মার উপর ভারি পড়েছে আর তিনি পুরো ম্যাচে বিরাট কোহলির ভুলের পরিণাম ভুগেছেন। এই ম্যাচে ভারতের কিছু বছর ধরে টি-২০ ক্রিকেটের এক নম্বর স্পিন জুটি কুলচা জুটি উপস্থিত ছিল না। যতই এই ম্যাচে যজুবেন্দ্র চহেল খেলুন কিন্তু তার জুড়িদার কুলদীপ যাদব খেলেননি। এই অবস্থায় ভারতকে এই পরণামও ভুগতে হয়েছে।
বিরাট কোহলির রণনীতির দায় ভুগতে হয়েছে রোহিতকে
কুলদীপ আর চহেল গত প্রায় ২-৩ বছরে ভারতকে বেশকিছু ম্যাচে জয় এনে দিয়েছেন। চহেল আর কুলদীপের জুটি কতটা খতরনাক তা তাদের একসঙ্গে খেলা ম্যাচের পরিসংখ্যানই বলে দেয়। কুলদীপ যাদব আর যজুবেন্দ্র চহেল নিজেদের মধ্যে ৩৬টি ম্যাচে ৬০টি উইকেট নিয়েছেন, সেই সঙ্গে তারা আঁটোসাটো বোলিংয়ে বিপক্ষ দলকেও যথেষ্ট সমস্যায় চেলেছেন। তো অন্যদিকে ভারতীয় দল গত কিছু সিরিজে দুজনকে একসঙ্গে দলে শামিল করছে না। কুলদীপ আর চহেলের জায়গায় ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট দুই অলরাউন্ডার স্পিনার ক্রুণাল পাণ্ডিয়া আর ওয়াশিংটন সুন্দরের উপর ভরসা করছে কিন্তু তারা ভারতের দ্বারা খেলা এই চালে সফল হননি। এই দুই স্পিনার ৩০টি টি-২০ ম্যাচে মাত্র ২৬টিই উইকেট নিতে পেরেছেন। এতেই গল্প পরিস্কার হয়ে যায় যে ভারতের কুলদীপ-চহেলের জুটির অভাব অনুভুত হচ্ছে।