আইপিএল ২০২০-র ৩১তম ম্যাচ কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব আর আরসিবির মধ্যে শারজাহের ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছে। এই ম্যাচ নিজেদের দুর্দান্ত প্রদর্শনের কারণে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের দল ৮ উইকেটের ব্যবধানে জিতে নিয়েছে। এই ম্যাচ জেতার সঙ্গেই পাঞ্জাবের দল পয়েন্টস টেবিলে ২টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসও অর্জন করে নেয়।
আরসিবি খাড়া করে ১৭১ রানের স্কোর
এই ম্যাচের টস আরসিবি জেতা আর প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে ব্যাট করে আরসিবির দলের শুরুটা ভালো হয়, আর অ্যারোন ফিঞ্চ আর দেবদত্ত পডিক্কল প্রথম উইকেটের হয়ে ৩৮ রান যোগ করেন। তবে প্রথম উইকেট পড়তেই আরসিবির রান করার গতি স্লো হয়ে যায় আর আরসিবির দল নিয়মিত ব্যবধানে নিজেদের উইকেট হারাতে থাকে। শেষে ক্রিস মরিস কিছু ভালো শট অবশ্যই মারে আর তার সৌজন্যে আরসিবির দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান করতে সফল হয়। আরসিবির হয়ে সবচেয়ে বেশি ৩৯ বলে ৪৮ রানের ইনিংস অধিনায়ক বিরাট কোহলি খেলেন। অন্যদিকে দলের হয়ে ৮ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলেন ক্রিস মরিস। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে মুরুগান অশ্বিন নিজের ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ২ উইকেট হাসিল করেন।
পাঞ্জাব শেষ বলে লক্ষ্য হাসিল করে
জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নামা কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের শুরুটা যথেষ্ট ভালো হয়। কেএল রাহুল আর ময়ঙ্ক আগরওয়াল প্রথম উইকেটের হয়ে ৮ ওভারে ৭৮ রানের এক দুর্দান্ত পার্টনারশিপ গড়েন। এরপর দ্বিতীয় উইকেটের হয়ে কেএল রাহুল আর ক্রিস গেইল ৯৩ রানের এক ভালো পার্টনারশিপ গড়েন আর দলের জয় নিশ্চিত করে দেন। ২টি দুর্দান্ত পার্টনারশিপের দমে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের দল ১৭২ রানের এই লক্ষ্যকে ২০ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে হাসিল করে নেয়। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৪০ বলে অপরাজিত ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন। অন্যদিকে দলের হয়ে ২৫ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন ময়ঙ্ক আগরওয়াল। ক্রিস গেইলও দলের হয়ে ৪৫ বএল ৫৩ রান করেন।
এই ম্যাচে অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবি ডেভিলিয়র্সকে ৬ নম্বর পজিশনের পর ব্যাটিংয়ের জন্য পাঠান অন্যদিকে ওয়াশিংটন সুন্দরকেও কোহলি বোলিংয়ে অনেক দেরীতে আনেন। তার এই ভুলগুলি দলের হারের সবচেয়ে বড়ো কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এখানে দেখুন ম্যাচের পুরো স্কোরবোর্ড