বিশেষ প্রতিবেদন: বিরাট কোহলিদের নতুন হেড কোচ কে হচ্ছেন, তা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই আলোচনা চলছে। বিরেন্দ্র সগবাগকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, নাকি টম মুটিকে কোহলিদের পরবর্তী কোচ হিসেবে নিয়োগ করা হবে তা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই বিষয়ে অনেক খবর প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি কোচ নিয়োগের ক্ষেত্রে নাটকীয় মোড় নিয়েছে। হঠাৎ করে আলোচনায় এসেছে দলের প্রাক্তন টিম ডিরেক্টর রবি শাস্ত্রীর নাম।
এখন শোনা যাচ্ছে, শাস্ত্রী কোচের পদে আবেদন করার পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রথমদিকে এই বিষয়ে আগ্রহ না দেখালেও, বর্ধিত সময়সীমা ৯ জুলাইয়ের মধ্যে আবেদন পাঠাতে পারেন তিনি। এক বছর আগেই শাস্ত্রীকে সরিয়ে অনিল কুম্বলেকে নিয়োগ করা হয়েছিল। কুম্বলের অধীনে দল সাফল্যে পেলেও, ভারত অধিনায়কে সঙ্গে তাঁর বনিবনা না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত সরে যেতে বধ্য হয়েছেন তিনি। অনেকেই পেছনে থেকে কলকাঠি নাড়ার জন্য দুষছিলেন রবি শাস্ত্রিকেই। কারণ, গত বছর কুম্বলের কারণেই তিনি কোচ হতে পারেননি।
এমন একটা বিতর্কের পর বোর্ড কর্তারাও বুঝতে পেরেছেন যে, ড্রেসিংরুমে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দরকার। এমন কাউকে কোচ করা যাবে না, যার সঙ্গে অধিনায়ক বা খেলোয়াড়দের বনিবনা হবে না। অবশ্য কোহালি ও তাঁর দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটার শাস্ত্রীকে ফেরানোর পক্ষে রায় দিচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। এমনকি কোহলি নিজেও বোর্ড কর্তাদের এমন কথা বলেছেন। এর আগে ১৮ মাসের দায়িত্বে ভারতীয় দলকে দারুণ বেশ কিছু সাফল্য এনে দিয়েছিলেন শাস্ত্রী। একটা সময় অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডে টানা আটটি টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হয়ে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ভারত ধুঁকছিল। সে সময় তিনি হাল ধরেন, দলকে একটা ভাল অবস্থায় নিয়ে যান। টিমের মানসিকতাই পাল্টে দেন তিনি।
এর পাশাপাশি, কোহলি-শাস্ত্রী সম্পর্কের সমীকরণটাও বেশ ভাল। দুজনের বোঝাপড়া শুধু ভাল বললে কম বলা হবে, তাঁদের মধুর সম্পর্ক সবার মুখে মুখে শোনা যায়। তাই বোর্ড শেষ পর্যন্ত শাস্ত্রীকে কোচ হিসেবে নিয়োগ করলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তাই আপাতত পরিষ্কার যে, কোহালিদের পরবর্তী কোচ নির্বাচন নিয়ে নাটক জমে উঠেছে। অনিল কুম্বলে যুগের অবসানের পর এরই মধ্যে আবেদন করেছেন বীরেন্দ্র সহবাগ, দুই বিদেশি কোচ টম মুডি এবং রিচার্ড পাইবাস, ভারতের লালচাঁদ রাজপুত। কিন্তু নতুন করে শাস্ত্রি যোগ হওয়াতে নাটকীয় মোড় নিল ভারতীয় ক্রিকেট।