আগামী ১৭ ডিসেম্বর অ্যাডিলেড ওভালে দিন রাতের টেস্টের মাধ্যমে শুরু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যেকার চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ফর্ম্যাটের সিরিজের জন্য ঘোষিত সকল ভারতীয় দলই পৌঁছে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়াতে, এবং সিডনিতে অনুশীলনও শুরু করে দিয়েছেন তারা। তবে চোটের জন্য আপাতত অস্ট্রেলিয়ায় যেতে পারেননি ভারতীয় দলের দুই অন্যতম সেরা ক্রিকেটার ইশান্ত শর্মা ও রোহিত শর্মা। এই মুহুর্তে রিহ্যাবের জন্য বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রয়েছেন এই দুই তারকা।
মাংসপেশির চোটের জন্য আইপিএল এর মাঝপথেই দেশে ফিরে এসেছিলেন ইশান্ত শর্মা। ইতিমধ্যেই তার রিহ্যাবের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ঘন্টাখানেক বোলিংও করছেন স্বাভাবিক ছন্দেই। এদিকে গত বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে এসেছিলেন রোহিত শর্মা। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়েও আইপিএল এর শেষের দিকের ম্যাচগুলি খেলেছিলেন রোহিত। তবে বিসিসিআই এর তরফ থেকে তাকে অস্ট্রেলিয়ায় না পাঠিয়ে এনসিএতে পাঠানো হয় রিহ্যাবের জন্য। আশা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ফিটনেস টেস্ট সেরে অস্ট্রেলিয়াগামী বিমানে উঠবেন এই দুই ক্রিকেটার।
তবে ইশান্ত ও রোহিতের জন্য এবার কড়া ডেডলাইন সেট করলেন জাতীয় দলের হেড কোচ রবি শাস্ত্রী। কোয়ারেন্টিন পর্ব সেরে অনুশীলনে নামাটা বিশাল সমস্যার এই মুহুর্তে। আর এর জেরে রিহ্যাব পর্ব চললেও খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে পারবে না ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট, তা স্পষ্ট ভাষায় স্বীকার করেছেন রবি শাস্ত্রী। আর এই ডেডলাইন না মানলে এই দুই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের পক্ষে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে, তা নিশ্চিত করেছেন শাস্ত্রী।
অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রবি শাস্ত্রী এই বিষয়ে বলেছেন, “রোহিত শর্মা ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে কিছু টেস্টের জন্য গিয়েছেন। এনসিএ সিদ্ধান্ত নেবে কবে উনি আসতে পারবেন। কিন্তু পরিস্থিতি অনেকটা মুশকিল হয়ে যাবে যদি আমাদের বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয় (১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন পর্বের কথা বলতে গিয়ে)। টেস্ট সিরিজের আগে জাতীয় দলে ফেরাটা বেশ কঠিন কাজ হয়ে যাবে। একই অবস্থা ইশান্ত শর্মারও, যিনি এখন ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রয়েছেন।”
এরপর এই দুই ক্রিকেটারের উপর বড় ডেডলাইন দিয়ে বসেন রবি শাস্ত্রী। তিনি আরও বলেন, “রোহিত শর্মা কখনই এই সফরে সীমিত ওভারের সিরিজে খেলতেনই না, আমাদের জানার দরকার ছিল যে উনি কতদিন বিশ্রাম নিতে চান। কিন্তু খুব বেশিদিন বিশ্রাম নেওয়াটা আমরা মেনে নিতে পারি না। যদি রোহিত এবং ইশান্ত টেস্ট সিরিজ খেলতে চান, তাহলে আগামী চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে অস্ট্রেলিয়াগামী বিমানে তাদের উঠতেই হবে। যদি একজন না পারেন, তাহলে দলে সুযোগ পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।”