এবারের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে চমকপ্রদ হারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল ভারতকে।২৪০ রানের লক্ষ্যমাত্রা চেজ করতে নেমে মাত্র ১৮ রান দুরে থমকে যেতে হয়েছিল বিরাটদের।প্রথমে বোলিং করে দুরন্ত ভাবে উইলিয়ামসনদের কম রানের মধ্যে আটকে দিলে, অনেকেই মনে করেছিল বিরাটদের ফাইনালে যাওয়া টা এইবার শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।কিন্তু পরবর্তী সময়ে ট্রেন্ট বোল্ট এবং ম্যাট হেনরির বোলিংয়ের কাছে কার্যত মাথা ঝোঁকায় বিরাটরা।
মাত্র পাঁচ রানে এদিন প্যাভিলিয়ানে ফিরে এসেছিলো রোহিত শর্মা, কে এল রাহুল এবং বিরাট কোহলি।এদিন বিরাটের আউট হওয়ার সাথে সাথে অনেকেই মনে করেছিল ধোনিকে চার নম্বরে পাঠানো হতে পারে ম্যানেজমেন্টের তরফে।কিন্তু এমনটা হয়নি ,বরং বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক এদিন এসেছিল সাত নম্বরে ব্যাটিং করতে।
একাংশ যখন রবি শাস্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করছিলেন ধোনি কে এতো দেরিতে ব্যাটিং করতে পাঠানো নিয়ে, ঠিক তখন উল্টো দিকে সম্প্রতি ” ডি এন এ ” তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী শাস্ত্রী নয় বরং ধোনিকে সাত নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানোর ভাবনা ছিলো আসলে সন্জয় বাঙ্গারের। প্রসঙ্গত, ভারতীয় ক্রিকেট দলের বর্তমানে সহকারী কোচ সন্জয় বাঙ্গার।তার এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যে কাটাছেঁড়া করা শুরু হয়েছে,মনে করা হচ্ছে তার চুক্তি রিনিউ না করতেও পারে দেশের ক্রিকেট বোর্ড।
প্রথম দুই উইকেট দ্রুত পড়ে যাওয়ার ধোনিকে পাঠালে দল আরো নির্ভরতা পেতো, কিন্তু এমনটা হয়নি, বরং সুযোগ পেয়েছে ঋষভ পন্থ এবং হার্দিক পান্ডিয়ার মতো ক্রিকেটারেরা।উইকেটে থিতু হলেও পরবর্তী সময়ে বড়ো শর্ট খেলতে গিয়ে নিজের উইকেট খোয়ান তারা।
অনেকেই মনে করছেন ধোনির সাথে পান্ডিয়া অথবা পন্থ খেললে ,পার্টনার শিপ গড়ার ক্ষেত্রে সাহায্য পেতো তারা।যে যুগলবন্দী পরবর্তী সময়ে দেখা গেছিলো মাহি এবং রবীন্দ্র জাদেজার। সেইদিন ৫৯ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
১২ বলে ৩১ রান বাকী থাকাকালীন ম্যাচ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় ভারতের।৪৯ তম ওভারে প্রথম বলে ছয় মেরে আশা জাগালেও পরবর্তী বলেই তার রান আউট হওয়ার সাথে সাথে যাবতীয় আশা শেষ হয়ে যায় ভারতের।শেষ অবধি জয়ের থেকে মাত্র ১৮ রান দুরে থমকে যায় বিরাটরা।