জাতীয় স্তরের এক মহিলা ক্রিকেটারকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষিতা মহিলা হরিয়ানার মহিলা ক্রিকেট টিমের সদস্য়া। অভিযুক্ত ব্য়ক্তি সাধুবাবা। এখানেই শেষ নয়, অভিযোগ পুলিশের দিকেও। তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে, এই কথা জানানোর পরও নাকি স্থানীয় পুলিশ কোনও ব্য়বস্থা নেয়নি। উল্টে থানার ওসি তাঁকে অকথ্য় ভাষায় অপমান করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সোমবার ওই মহিলা ক্রিকেটার ঘটনাটি হরিয়ানার পুলিশের ডিজি‘কে জানানোর পর সংবাদমাধ্য়মের সামনে আসে। অভিযুক্ত সাধুবাবা পলাতক।
বেসরকারি একটি সংবাদ মাধ্য়মের খবর অনুযায়ী, ওই মহিলা ক্রিকেটারের সঙ্গে ঘটনাটি এবছরের মার্চ মাসে ঘটে। ঘটনার দশদিন পর ২৭ মার্চ পুলিশের কাছে এফআইআর রুজু করে অভিযোগকারিণী। হিসার পুলিশকে দেওয়া তার জবানবন্দি অনুযায়ী, রাজস্থানের ভিলওয়াড়ার বাসিন্দা ধর্মপ্রচারক বিদ্য়ানন্দ তাঁকে হরিদ্বার নিয়ে যায় এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে সহবাস করে। অভিযুক্ত বিদ্য়ানন্দ এবং আরেক সাধুবাব আত্মানন্দের পাশাপাশি ওই মহিলা ক্রিকেটার ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩৭৬ (ধর্ষণ), ধারা ৩৪২ (জোর করে আটকে রাখা) ও ধারা ১২০-বি (অপরাধমুলক ষড়যন্ত্র) অনুযায়ী হিসার সদর পুলিশ থানায় তার ইউনিভার্সিটির ক্রিকেট টিমমেটের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে।
ওই মহিলা ক্রিকেটার বক্তব্য় অনুযায়ী, তার সাফল্য়ে ইর্ষান্বিত হয়ে তার এক টিম-মেট তার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং তার সঙ্গে বিদ্য়ানন্দের পরিচয় করায়। এরপর তাকে হরিদ্বারে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগকারিণীর বক্তব্য়।
হিসার পুলিশের ডিজি বিএস সাঁধু গতকাল ওই মামলার অগ্রগতি দেখতে হিসার পরিদর্শনে এসেছিলেন। সেসময় তাঁকে সামনে পেয়ে ওই মহিলা ক্রিকেটার তাঁর সমস্ত অভিযোগ জানায়। স্থানীয় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে অভিযোগকারিণীর বলে, ”আমার জবানবন্দি পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। যখনই থানায় যাই পুলিশ আধিকারিকরা আমায় দেখলেই নোংরা ভাষায় কথা বলে। মুখ্য়মন্ত্রীর ওএসডি‘র সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু, তিনি বলেছেন, আমাকে কোনও রকম সাহায্য় করতে পারবেন না।” ওই মহিলা এরপর ডিজিপি‘র কাছে আবেদন জানিয়েছে, তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ফের যেন তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
ডিজিপি ঘটনাটি জানার পর ওই মহিলাকে ন্য়ায্য় বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। পুলিশের সুপার মণীশা চৌধুরী এব্য়াপারে সংবাদমাধ্য়মকে জানিয়েছেন, অভিযোগ অনুযায়ী হরিদ্বার ও ভিলওয়ারাতে অভিযুক্তের ডেরায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। আত্মানন্দ জেলেই রয়েছে। মহিলার টিম-মেট কোর্ট থেকে জামিন নিয়েছে। বিদ্য়ানন্দের খোঁজ চলেছে। তাকে এখনও পাকড়াও করা যায়নি। তবে, শীঘ্রই তাকে ধরে ফেলা হবে।