রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) সেমিফাইনাল ম্যাচে মুম্বাই এবং তামিলনাড়ু দল একে অপরের মুখোমুখি হয়। তামিলনাড়ু প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪৬ রানে শেষ হয়ে যায়। তবে মুম্বাই প্রথম ইনিংসে ৩৭৮ রানের বিশাল স্কোর করেছিল। শার্দুল ঠাকুরের সেঞ্চুরি এবং তনুশ কোটিয়ানের ৮৯ রানের ইনিংসের সুবাদে মুম্বাই এত বড় স্কোরে পৌঁছাতে সফল হয়। অন্যদিকে, তামিলনাড়ু দ্বিতীয় ইনিংসেও মাত্র ১৬২ রান করতে পারে। যার কারণে ইনিংস ও ৭০ রানের ব্যবধানে ম্যাচটা জিতে ফাইনালে উঠেছে মুম্বাই।তামিলনাড়ুর কোচ সুলক্ষণ কুলকার্নি দলের হারের জন্য অধিনায়ক সাই কিশোরকে দায়ী করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, দলটি প্রথম দিনের শুরুতে ম্যাচ হেরেছিল কারণ তাদের টসে জিতে প্রথমে বোলিং করা উচিত ছিল। এবার দলকে সমর্থন না করায় তামিলনাড়ুর কোচের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দিনেশ কার্তিক।
কোচের ওপর রেগে যান দিনেশ কার্তিক
দীনেশ কার্তিক সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তামিলনাড়ু কোচের দেওয়া বক্তব্যে আপত্তি জানিয়ে বলেন, “এটা বড় ভুল। কোচের মুখ থেকে এমন কথা শুনে হতাশ। এমন একজন অধিনায়ক যিনি দলকে সাত বছর পর সেমিফাইনালে নিয়ে এসেছিলেন। তাকে সমর্থন না করে এভাবে কথা বলা তার জন্য শোভনীয় নয়। কোচ যে নিজের দায়িত্ব না নিয়েই তার অধিনায়ক এবং পুরো দলকে পরাজয়ের জন্য দায়ী করেছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই।”
কী ছিল সুলক্ষণ কুলকার্নির বক্তব্য?
ম্যাচে তামিলনাড়ুর পরাজয়ের বিষয়ে কোচ সুলক্ষণ কুলকার্নি বলেছিলেন, “প্রথম দিন সকাল ৯টায় আমরা ম্যাচ হেরেছিলাম। টস জিতে বোলিং বেছে নেওয়া উচিত ছিল, কিন্তু অধিনায়কের পরিকল্পনা ছিল ভিন্ন। পিচ দেখার সাথে সাথে আমার একটা ধারণা ছিল যে আমাদের কী করতে হবে। আমি একজন কোচ, মুম্বাইতে থাকি এবং এখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন। আমি ঘোড়াকে জলের কাছে নিয়ে যেতে পারি কিন্তু জলকে ঘোড়ার কাছে টেনে আনতে পারি না।”