গতকাল বিকেলে আইপিএলে লিগের ম্যাচে মুখোমুখী হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। এই ম্যাচে রাজস্থান ব্যাঙ্গালুরু কে হারিয়ে তাদের এই টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে দিল। এই ম্যাচে রাজস্থানের স্পিনাররা দুরন্ত বোলিং করে আরসিবিকে মাত দিয়ে দেয়।
রাজস্থান হারাল আরসিবিকে
জয়পুরের সোয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টসে জিতে রাজস্থান অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন। রাজস্থানের শুরুটা খুব একটা ভাল হয় নি এবং দ্বিতীয় ওভারেই তাদের প্রথম উইকেট হারিয়ে ফেলে। যদিও এরপর অধিনায়ক রাহানে এবং রাহুল ত্রিপাঠি মিলে একটু দারুণ পার্টনারশিপ গড়েন। কিন্তু তারপরই উমেশ যাদব একই ওভাএ দুই উইকেট নিয়ে রাজস্থানকে চাপে ফেলে দেন।
শ্রেয়স গোপালের দারুণ স্পেল
এরপরেই রাজস্থানের ওপেনার রাহুল ত্রিপাঠির সঙ্গে হেইনরিখ ক্লাসেন এবং কে গৌতম কিছু বড় শট খেলেন এবং দলের স্কোরকে ১৬৪ রানে পৌঁছে দেন। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আরসিবির শুরুটা খারাপ হয়। বিরাট মাত্র ৪ রানে আউট হয়ে যান। এরপরে পার্থিব প্যাটেল এবং এবি ডেভিলিয়র্স মিলে তাদের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান, কইন্তু শ্রেয়স গোলার ধারাবাহিকভাবে তিনটি উইকেট নিয়ে আরসিবিকে চাপে ফেলে দেন।
হারের পর বিরাটের বয়ান
এটা বেশ অদ্ভূত হার। এক সময় আমরা ৭৫/১ ছিলাম। কিন্তু তারপর হঠাৎই উইকেট পড়তে শুরু করে আর আমরা হেরে যাই। একদিক থেকে ডেভিলিয়র্স চার ছয় মারছিল, কিন্তু অন্যদিক থেকে কেউ ওকে সহযোগিতা করে নি। আমাদের আরও কিছু স্মার্ট সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের নিজেদের মিডল অর্ডারকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। আগামি মরশুমের জন্য আমাদের এই বিভাগকে মজবুত করতে হবে। আমাদের অন্য দলগুলির তুলনায় বেশি হুঁশিয়ার হতে হবে”।
বিরাট আরও জানান, “সবসময়ই আমরা এবির উপর দায়িত্ব চাপাতে পারি না। ও সবসময়ই রান করে কিন্তু বাকিদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। আমাদের দলে বেশ কিছু নতুন প্লেয়ার রয়েছে যারা ভাল খেলেছে। উমেশ নতুন বলে ভাল বল করেছে, চহেল এবং সিরাজও যথেষ্ট ভাল বল করেছে। এরপরেও আমরা ৭৫/১ হওয়া সত্ত্বেও হেরে যাই”। বিরাট টুর্নামেন্টে বেঁচে থাকা বাকি দলগুলিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।