২০১১ থেকে ২০১৪ সাল ছিল টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের জন্য খারাপ সময়। মহেন্দ্র সিং ধোনীর নেতৃত্বে ভারত তখন ৪-০ তে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডে ধোবল ধোলাই হয়। এরপরে ঘরের মাঠে হারে ইংল্যান্ডে কাছে। হারে অস্ট্রেলিয়া, নিউজল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকায়ও। এরপর কোহলীর নেতৃত্বে ভারত চূড়ান্ত ভাবে ফিরে আসে টেস্ট ক্রিকেটে। ২০১৫ সালে শ্রীলঙ্কার মাটিতে ২-১ এ ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের মাধ্যমে কোহলী যুগ শুরু হয়। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকায় নি কোহলী বাহিনী। এরপরে একে জিতেছে ওয়েট উইন্ডিজ, নিউজল্যান্ড, ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া ; শ্রীলঙ্কা। ভারত জয়ী হয় টানা আটটি সিরিজ। ” আমি মনে করি দলের প্রতিটি সদস্য এ সাফল্যে ভূমিকা রেখেছে। যদি আমাদের ব্যাটসম্যানদের দিকে তাকান তাহলে দেখবেন সবাই অসাধারন করছেন এবং তাদের অপ্রতিরোধ্য করে তুলছে।
যখন উপর সারির ব্যাটসম্যানরা ই ভাল করে তখন স্কোর বোর্ডে জমা হয় ৪০০ এর আশেপাশে রান।আবার যখন নিচের সারির ব্যাটসম্যানরা ভাল করেন তখন আমরা ৬০০ অতিক্রম করে যাচ্ছি। ৪০০ ও ৬০০ এর ভিতর পার্থক্য অনেক। যখন আমরা স্কোর বোর্ডে ৬০০ জমা করি তখন প্রতিপক্ষ রান তাড়া করতে নেমে এমনিতেই চাপে পড়ে ;তখন বোলারদের কাজ সহজ হয়ে যায়।” টাইম অফ ইন্ডিয়াকে সাক্ষাৎকারে বলছিলেন চেতশ্বর পূজারা। দলের বাহিরে থাকা যোগ্য খেলোয়ারদের সম্পর্কে পূজারা বলেন “ভারতের এই দলের বাহিরে যারা আছেন তারাও অনেক যোগ্য। যেই একাদশে সুযোগ পাচ্ছে সেই অবদান রাখছে। কুলদীপ যাদব, জয়ন্ত যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, করুন নায়ার এবং অভিনাদ মুকুন্দ যারা যখন ই সুযোগ পাচ্ছেন তারা ই ভাল খেলে। এমনি আমাদের পেসার উমেশ যাদব কিংবা সামিও অসাধারন বোলিং করছেন।”
ভারতের এই সফলতার কারিগর ছিলেন ভারতীয় সাবেক কোচ অনীল কুম্বলে, যে এক বছরের মত ভারতের কোচ ছিলেন। এরপর কোচ হওয়া রবী শাস্ত্রীর কোচিংও শুরু হয় শ্রীলঙ্কার মাটিতে শ্রীলঙ্কাকে ৩-০ তে ধোবল ধোলাই করার মাধ্যমে। যখন পূজারা কে জিজ্ঞেস করা হয় ভারতের নতুন কোচ সাবেক অলরাউন্ডার রবী শাস্ত্রী কি নতুনত্ব নিয়ে এসেছেন। তখন তিনি বলেন, “রবী ভাই এমন একজন মানুষ যিনি খেলোয়ারদের পূর্ণ স্বাধীনত দেন এবং একই সময় এটাও বেশ ভাল করে বুঝেন সফলতার জন্য খেলোয়ারদের জন্য কি করা দরকার। তিনি খেলোয়ারদের মনে বরন করেন এবং খেলোয়াররাও বুঝে তাদের কি করতে হবে।