চিনের বুহান শহর থেকে উৎপন্ন হওয়া প্রাণঘাতী ভাইরাস COVID-19 এখন পুরো বিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। করোনা ভাইরাস ধীরে ধীরে বিশ্বজুড়ে আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়েছে, এখন এর বড়ো প্রভাব ভারতেও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। ভারতে প্রত্যেকদিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
ভারতে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের গ্রাফ, এখনো পর্যন্ত প্রায় ৫০০ জন সংক্রামিত
করোনা বিশ্বজুড়ে যেভাবে মহামারীর পরিস্থিতি তোইরি করে দিয়েছে সেই তালিকায় ভারতও আক্রান্ত হয়েছে, যেখানে মঙ্গলবার পর্যন্ত এই প্রাণঘাতী ভাইরাস ১০জন মানুষের প্রান নিয়েছে এবং প্রায় ৫০০ জনের কাছাকাছি সংক্রামিত মানুষকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভারতে ক্রমবৃদ্ধিমান করোনা ভাইরাস থেকে যেখানে একদিকে সরকার, প্রশাসন মানুষের সঙ্গে তালমেল তৈরি করে এটা থেকে লড়ার চেষ্টা করছে তো অন্যদিকে এখানে করোনা ভাইরাসের এই আতঙ্ক থেকে বাঁচার জন্য জিনিসপত্রের অভাবও দেখা যাচ্ছে।
ইরফান পাঠান আর ইউসুফ পাঠান সাহায্য করার পর সমাজের কাছে করলেন এই আবেদন
এর মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলা প্রাক্তন অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান আর তার বড়ো ভাই ইউসুফ পাঠানও নিজের মতো করে সাহায্য করার চেষ্টা করেছেন। ভারতের হয়ে খেলা পাঠান ভাইরা দেশে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে বেড়ে চলা মাস্কের অভাবকে দেখে মাস্ক বিলি করা চালু করেছেন। পাঠান ভাইরা এর সঙ্গেই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুত করা থামানোর আবেদনও করেছেন, অন্যদিকে সমাজের বিশিষ্ট মানুষদের এগিয়ে এসে সাহায্য করার আবেদনও করেছেন। ইরফান আর ইউসুফ ক্রিকেট ট্র্যাকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন,
“আমরা এমন বিকট পরিস্থিতিতে যথাসম্ভব ভাবে সরকারের সমর্থন করতে প্রস্তুত। আগামী কিছুদিন গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে আর আমরা দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের কাছে অ্যাপিল করছি যে তারা ঘরে থাকুন আর স্বাস্থ্যের দেখভাল করুন আর নিজেদের আশেপাশের মানুষদেরও দেখভাল করুন”।
যতটা সম্ভব সমাজের সাহায্য করুন, রাখুন নিজেকে সুরক্ষিত
ইরফান পাঠান আগে বলেন যে,
“একটা কথা আরো বলতে চাই এটা সেই মানুষদের কাছে সমস্যার যারা দৈনিক মজুরীর মাধ্যমে কাজ করছেন। আমি সকলের কাছে আবেদন করছি যে তারা এমন মানুষদের সমর্থনে এগিয়ে আসুন আর তাদের আবশ্যক সহায়তা প্রধান করুন। মাস্ক আর স্যানিটাইকারের সঙ্গে প্রত্যেক ব্যক্তিকে জিনিসপত্র জমা করার বদলে অভাবী মানুষের পাশাপাশি সমাজের সাহায্য করা করা উচিত। আমরা সকলের কাছে অনুরোধ করছি যে তারাও যা করতে পারেন এই প্রচেষ্টায় একে অপরের সাহায্য করুন। সুরক্ষিত থাকুন, নিজের পরিবারের খেয়াল রাখুন আর সার্বজনিকভাবেও ভীড় না করুন”