প্রথম টেস্টে ভারতীয় দলকে হারানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা অস্ট্রেলিয়ান জোরে বোলার প্যাট কমিন্স প্রথম ম্যাচের জয়ের পর নিজের বয়ান দিয়েছেন। শনিবার ২১ রান দিয়ে ৪জন ব্যাটসম্যানকে আউট করা কমিন্স আগামি ম্যাচ নিয়েও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বয়ান দিয়েছেন। জানিয়ে দিই যে ভারতীয় দলকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির পরের ম্যাচ মেলবোর্নে ২৬ ডিসেম্বর থেকে এমসিজিতে খেলতে হবে। বক্সি ডে টেস্টে ভারতীয় দল প্রথম ম্যাচে নিজেদের খারাপ প্রদর্শনকে সরিয়ে অবশ্যই উন্নতি করতে চাইবে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়াও নিজেদের মোমেন্টাম বজায় রেখে দ্বিতীয় জয়ের উদ্দেশ্যে মাঠে নামবে। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া ৪ ম্যাচের এই সিরিজে ১-০ এগিয়ে রয়েছে।
কমিন্স মেলবোর্ণেও এমন উইকেটের ইচ্ছে প্রকশ করলেন
অস্ট্রেলিয়ার পেস অ্যাটাকের মেরুদণ্ড আর বিশ্বের এক নম্বরে জোরে বোলার প্যাট কমিন্স শিনিবার ভারতকে ৩৬ রানে অলআউট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে। প্রথম টেস্টের তৃতীয়দিন বোলিং করে কমিন্স নাইট ওয়াচম্যান জসপ্রীত বুমরাহ আর চেতেশ্বর পুজারার উইকেট নিয়েছিলেন। প্রথম ম্যাচের দুর্দান্ত বোলিং আর দলের জয়ের পর কমিন্স আশা প্রকাশ করেছেন যে মেলবোর্ন্র উইকেটেও অ্যাডিলেডের মতো পেস আর বাউন্স পাওয়া যাবে। সবমিলিয়ে কমিন্সের ধারণা যে এমসিজিতে তারা একটা সজীব উইকেট পাবেন। এমন এক উইকেট যাতে বোলিং করতে জোরে বোলাররা আনন্দ পাবেন।
ক্রিকেটের উন্নতির জন্য এমন উইকেট জরুরী—কমিন্স
কমিন্স নিজের বয়ানে বলেছেন যে অ্যাডিলেড ওভালের মাঠে পাশ থেকে সুইং করা বল অস্ট্রেলিয়াকে যথেষ্ট সাহায্য করেছে, আর এই ধরণের উইকেটের আশা তার এমসিজিতেও রয়েছে। এরপর উইকেটের এই ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে এক নম্বর বোলার বলেছেন যে, “একজন বোলার হিসেবে যদি আমি এমসিজির উইকেটে হওয়া কোনো ম্যাচের উল্লেখ করি তো ২০১৭র অ্যাসেজ টেস্ট আর কয়েক বছর আগে ভারতের বিরুদ্ধে খেলা টেস্ট ম্যাচের উইকেট যথেষ্ট ফ্ল্যাট আর বোরিং ছিল। কিন্তু গত বছর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হওয়া ম্যাচের উইকেট জোরে বোলিংয়ের দিক দিয়ে একটা ভালো উইকেট ছিল বলা যেতে পারে। সেই সময় একটি সাইডওয়জ সুইংয়ের পাশাপাশি উইকেটে পেস আর বাউন্সও যথেষ্ট ভালো ছিল। ভারতের বিরুদ্ধে হতে চলা বক্সিং ডে টেস্টেও আমার ওই ধরনের উইকেটের আশা রয়েছে। না শুধু একজন বোলার হিসেবে বরং একজন ক্রিকেটের ফ্যান হওয়ার কারণেও আমি এটা বলতে চাইব যে এই ধরণের ভালো উইকেটে বল আর ব্যাটের মধ্যে একটা ভালো প্রতিযোগীতা দেখতে পাওয়া যাবে। এমন উইকেটে বোলার হিসেবে যদি আপনি নিজের সর্বশ্রেষ্ঠ দেন তো ভালো প্রভাব ফেলতে পারেন”।
প্যাট কমিন্স নিজের এই বয়ানে দ্রুতগতির আর বাউন্সি উইকেটের দাবি করেছেন, এই অবস্থায় ভারতীয় দল আরও একবার ফেঁসে যেতে পারে।
ভারতের জন্য ঘাতক প্রমানিত হয়েছিলেন কমিন্স আর হ্যাজেলউড
অস্ট্রেলিয়ার জয়ের সূত্রধার হয়েছিলেন প্যাট কমিন্স আর জোশ হ্যাজেলউড। এই দুই বোলার মিলে ভারতের পুরো দলকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখিয়েছিলেন। বিরাট কোহলি আর চেতেশ্বর পুজারার গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেওয়া কমিন্স ছাড়াও জোশ হ্যাজেলউডও দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন। হ্যাজেলউড ৫ ওভারের বোলিংয়ে ১.৬ এর সাধারণ ইকোনমি রেটে বোলিং করে ভারতের ৫ উইকেট নিয়েছিলনে। এই দুই বোলারের সামনে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করেছিলেন। যারপর সম্পূর্ণ দল ৩৬ রানে অলআউট হয়ে যায়।