সমস্ত সমস্যা আর সংঘর্ষের পর ব্যাটসম্যানদের দুর্দান্ত প্রদর্শনের পর ভারতীয় দল শেষমেশ সিডনি টেস্ট ড্র করতে সফল হয়েছে অস্ট্রেলিয়ান দলকে জয় থেকে দূরে রাখতে ভারতীয় উইকেটকিপার ঋষভ পন্থ ৯৭ রানে আর চেতেশ্বর পুজারার ৭৭ রানের হাফসেঞ্চুরি ইনিংস যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়াও সিডনিতে হওয়া সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ভারতীয় উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থও এক অনন্য রেকর্ড নিজের নামে করেছেন পন্থ এই রেকর্ড নিজের ৯৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস চলাকালীন গড়েছেন এবং তিনি এখন এমনটা করা বিশ্বের একমাত্র উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হয়ে গিয়েছেন।
চতুর্থ ইনিংসে ৫০+ স্কোর গড়া পন্থ সবচেয়ে তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হয়েছেন
সিডনি টেস্টের শেষ দিন চোটের পর উপর দিকে প্রমোট করা ভারতীয় দলের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থ অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মাঠের চারদিকেই খেলে ৯৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন। তার এই ইনিংসের সৌজন্যেই ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একটি মজবুত জায়গায় পৌঁছয়। এছাড়াও পন্থ ব্যাটিং চলাকালীন একটি রেকর্ডও নিজের নামে করেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ায় কোনো টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ৫০ রানের বেশি করা বিশ্বের সবচেয়ে তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হয়েহেন। তার আগে এই রেকর্ড প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান উইকেটকিপার ইয়ান হিলির নামে ছিল। হিলি এই রেকর্ড ২৪ বছর ২১৬ দিন বয়সে গড়েছিলেন অন্যদিকে পন্থ ২৩ বছর ৯৫ দিনে এই রেকর্ড গড়লেন।
এলবোতে চোট সত্ত্বেও পন্থ খেলেন দুর্দান্ত ইনিংস
ম্যাচের চতুর্থ দিন এলবোর চোট সুত্ত্বেও সকালে ব্যাটিং তালিকায় পন্থকে উপর দিকে পাঠানো হয়েছিল। অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানের আউট হওয়ার পর হনুমা বিহারীর আগে ব্যাটিং করতে আসা দিল্লির ২৩ বছর বয়সী এই তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান চেতেশ্বর পুজারার সঙ্গে মিলে এক দুর্দান্ত পার্টনারশিপ গড়েন। তবে নিজের ব্যাটিংয়ের শুরুতে পন্থ অবশ্যই সামান্য নার্ভাস ছিলেন। কিন্তু দ্রুতই তিনি সামনে নেন আর তিনি আক্রামনাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন। পন্থ যথেষ্ট দ্রুতগতিতে নিজের হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। দুর্ভাগ্যবশত তিনি নিজের সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে থেকে যান। নিজের ৯৭ রানের ইনিংসে পন্থ ১২টি বাউন্ডারি আর ৩টি ছক্কাও মারেন।
পন্থ-পুজারার পর অশ্বিন-বিহারীর পার্টানারশিপ ভারতকে এনে দেয় স্মরণীয় ড্র
রাহানের উইকেট পড়ার পর পন্থ আর পুজারা প্রথম সেশনে ভারতীয় দলের একটিও উইকেট পড়তে দেননি। লাঞ্চ ব্রেক পর্যন্ত ভারতের ৭ উইকেট বাকি ছিল। লাঞ্চের পর ব্যাটিং করতে নামা দুই ব্যাটসম্যান নিজেদের পার্টনারশিপ এগিয়ে নিয়ে যান আর চতুর্থ উইকেটের হয়ে দুর্দান্ত ১০৪ রান যোগ করেন। পুজারা আর পন্থের পার্টনারশিপ না শুধু ভারতীয় দলকে সাহায্য করেন বরং অসাধারণ জয়েরও আশা জাগিয়েছিল। কিন্তু দুজনের আউট হওয়ার পর মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হনুমা বিহারী আর অলরাউন্ডার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ধীরস্থির ক্রিকেট খেলে ভারতকে এক স্মরণীয় ড্র এর দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেন।