অবিশ্বাস্য ভাবে চলতি বিশ্বকাপে জেগে উঠেছে পাকিস্তান। চিরশত্রু ভারতের কাছে হারের পর থেকেই গোটা পাক শিবির জুড়ে তৈরী হয়েছিল এক থমথমে পরিবেশ। এরপর সাউথ আফ্রিকাকে হারিয়ে হঠাৎই পাকিস্তান শিবিরে ঘনকালো মেঘ কেটে উকি দিলো রোদ। এক লহমায় বদলে গেলো গোটা দলের অন্দরমহল।এবং গতকাল নিউজিল্যান্ডে কে উড়িয়ে হঠাৎই উজ্জ্বল হয়ে গেল উঠলো সরফরাজদের সেমিফাইনাল যাওয়ার সম্ভাবনা।সামনের দুই ম্যাচে আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ কে হারালেই সেমি ফাইনাল নিশ্চিত পাক দলের।
এদিন ম্যাচের পর সরফরাজদের নিয়ে খানিকটা মজা করলেন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের ব্যাটিং কোচ রিকি পন্টিং। জানিয়েছেন পাকিস্তান এমনই একটা দল যারা যখন খুশি জিততে পারে আবার যখন খুশি হারতেও।পন্টিং কথাটি মজা করে বললেও বিষয়টি যে একেবারেই ভুল এমন নয়, অন্তত পাকিস্তানের এবছর এযাবৎ বিশ্বকাপ সফর এই কথাই বলে।কারন গতকাল সেমিফাইনালে যাওয়ার দৌড়ে টিকে থাকতে হলে কিউয়িদের হারাতেই হতো সরফরাজদের।অন্যদিকে এখনও অবধি বিশ্বকাপে একটিও ম্যাচ না হারা নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জেতাটা যে কতটা কঠিন ছিলো তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।কিন্তু আক্ষরিক অর্থে সেই কাজ যে কতো কঠিন ছিলো সে বিষয়ে কিছু বলা আর বিশেষ অপেক্ষা রাখেনা।কারন পাকিস্তানের কাছে হারার আগে একটিও ম্যাচ হারেনি নিউজিল্যান্ড।
এদিন শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে বিপর্যয়ের মুখ দেখলো উইলিয়ামসনরা। বল হাতে নজর কাড়লেন তরুণ পাকিস্তান পেসার শাহিন আফ্রিদি।এদিন ১০ ওভার বল করে ২৮ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নিয়েছিলেন এই প্রতিশ্রুতিমান বোলার।এছাড়াও একটি করে উইকেট নিয়েছেন মহম্মদ আমির এবং শাদাব খান।শেষে ৫০ ওভারের পর ২৩৮ শেষ করে কিউয়িরা।এজন্য অবশ্যই কৃতিত্ব প্রাপ্ত জেমি নিশাম এবং কলিন ডি গ্রান্ডহোম।এদিন একসময় ২৬ ওভার দুই বল শেষে ৮৩ রানে পাঁচ উইকেট পড়ে যায় কিউয়ি দলের।দলের কঠিন সময়ে দুজনে মিলে খেলে যোগ করেন ১৩২ রান।
জবাবে এদিন ফের নিজেকে ফের প্রমাণ করেন ব্যাট করতে নেমে বাবর আজম।এদিন ১২৭ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি।পাশাপাশি দারুন খেলেছেন হ্যারিস সোহেল, গতদিনের মতো এইদিন ফের দুরন্ত এক ইনিংস খেলেন তিনি ।করেন ৭৬ বলে ৬৮ রান।ম্যাচ শেষে স্বস্তির হাসি সরফরাজের ।ইতিমধ্যে ১৯৯২ এর পথ অনুসরণ করা শুরু করেছে তার দল।