ক্রিকেটকে ভদ্রলোকের খেলা বলা হয়, কিন্তু বারে বারে জুয়া এবং বেটিংয়ের ছায়া এই খেলার উপর পড়তে দেখা গেছে। এখন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড খোলসা করেছে যে চলতি ন্যাশনাল টি-২০ ক্লাবে অংশ নেওয়া এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে সন্ধিগ্ধ এক বুকি যোগাযোগ কএছে। তবে সুরক্ষার কারণে সেই খেলোয়াড়ের নাম জানানো হয়নি।
পাকিস্তানের খেলোয়াড়ের সঙ্গে বুকি করল যোগাযোগ
ক্রিকেট একটি ভীষণই পরিস্কার ইমেজের খেলা, কিন্তু কিছু বুকিদের দ্বারা প্রায়ই এই খেলায় ফিক্সিংয়ের প্রয়াস করে। যা এই খেলার ইমেজকে নষ্ট করে। এখন এই তালিকায় পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড খোলসা করেছে যে ন্যাশনাল টি-২০ ক্লাব চলাকালীন একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে এক সন্ধিগ্ধ বুকি যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে। পিসিবি নিজেদের বয়ানে জানিয়েছে, “সূচনা পাওয়ার পর পিসিবির দুর্নীতি রোধ ইউনিট স্বয়ং তদন্ত করে আর কিছু সংবেদনশীল সূচনা পায়। যা এফআইএ (ফেডারেশন ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি) কে দিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাদের জরুরী বিশেষজ্ঞতা রয়েছে আর এই ধরণে মামলার তদন্তের সংসাধন, ক্ষমতা আর অধিকার তাদের কাছেই রয়েছে। খেলোয়াড়রা যোগাযোগ করার কথা বোর্ডের দুর্নীতি নিরোধক আর সুরক্ষা নির্দেশক আসিফ মহমুদকে দিয়েছেন”।
তদন্তকে করতে পারব না প্রভাবিত
সম্প্রতিই ইউএই-তে বায়ো সিকিয়োর পরিবেশে চালু আইপিএল ২০২০-তে বুকিরা একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল। যার কথা ওই খেলোয়াড় দ্রুতই বিসিসিআইকে দেন। সুরক্ষার কারণে খেলোয়াড়ের নাম প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু এখন পাকিস্তানে ফিক্সিংয়ের খবর সামনে এসেছে। মহমুদ বলেছেন, “আমরা বর্তমান তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারব না এই কারণে এই সম্পর্কে কোনো তথ্য দেওয়াই অনুচিত হবে। পিসিবি তদন্তের প্রগতির তথ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পরিষদকে দিতে থাকবে। আমরা জানি যে কিছু ভ্রষ্ট মানুষের কারণে খেলার উপর বিপদ রয়েছে, যারা নিজেদের ফায়দার জন্য ক্রিকেটারদের ভুল রাস্তায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে”।
প্রসঙ্গত জানিয়ে দিই যে ন্যাশনাল টি-২০ ক্লাবে বাবর আজম, মহম্মদ হাফিজ আর ইমাদ ওয়াসিমের মতো বড় বড় খেলোয়াড়রা অংশ নিচ্ছেন।