ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, তাদেরও চিরপ্রতিদ্বন্ধী দেশ ভারত আর ভারতের সঙ্গে না খেলে তাদেরও মন মানে না। আপনারা সকলেই জানেন যে ২০১২র পর থেকে ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলা হয়নি। এটা নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ভীষণই চিন্তিত। তারা আইসিসির কাছেও পর্যন্ত অভিযোগ জানিয়েছে তারপরও কোনো ফলাফলা বেরয়নি তো এখন তারা আবারও ভারতের কাছে এই সিরিজ শুরু করার জন্য অনুরোধ করতে শুরু করেছে।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টার ওয়াসিম খান সিরিজ শুরু করার দিলেন এই পরামর্শ
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টার ওয়াসিম খান আশাবাদী। তার ধারণা আসন্ন মাসগুলিতে পাকিস্তান আর ভারতের মধ্যে পূর্ণ দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সম্পর্ক আবারো শুরু করার দিকে প্রগতি হতে পারে যা ২০০৭ থেকে সাসপেণ্ড রয়েছে। পিসিবিতে ৬ মাস পূর্ণ হওয়ায় সোমবার লাহোরে স্থানীয় মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ওয়াসিম বলেন যে পাকিস্তান আর ভারতীয় বোর্ডের মধ্যে সম্পর্ক ভীষণই ভাল। ওয়াসিম বলেন যে,
“দুর্ভাগ্যবশত দুই দেশের মধ্যে ক্রিকেট সম্পর্ক রাজনৈতিক আর কূটনীতিক সম্পর্কের কারণে প্রভাবিত, কিন্তু আমাদের আশা যে সবকিছুই এখন সঠিক দিকে এগোচ্ছে”।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ভারতের থেকে এই সিরিজ শুরু করার এখনো রয়েছে আশা
ওয়াসিম বলেছেন যে এর সংকেত তখন পাওয়া গিয়েছিল যখন আইসিসির অধ্যক্ষ শশাঙ্ক মনোহর আইসিসির বিত্ত আর বানিজ্যিক বিষয়ের কমিটির প্রধানের পদের জন্য পিসিবির অধ্যক্ষ এহসান মানির নিযুক্তির সমর্থন করেছিলেন। এর আগে তিনি জানিয়েছেন যে দুই দেশের মধ্যে এই সিরিজ খেলা ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানিয়েছেন গত এশিয়ান ক্রিকেট পরিষদের বৈঠকে আরো একটা সংকেত এসেছিল যখন ভারতের প্রতিনিধিরা আগামী বছর হতে চলা এশিয়া কাপ টি-২০ কার্যক্রমের জন্য পাকিস্তানকে আয়োজকের অধিকার দেওয়ার সমর্থন করেছিল।
তিনি বলেন যে,
“আমার মনে হয় যে আমদের আগামী মাসগুলিতে এই সমস্যা কম হবে আর এখন খেলায় প্রগতি হবে। দুই দেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সম্পর্ককে নিয়মিত রাখা গুরুত্বপূর্ণ”।
ভারতীয় ক্রিকেট ছাড়াও টেনিস কোর্টেও হয়ে গিয়েছে মিলমিশ
পাকিস্তান আর ভারতের মধ্যে খেলার সম্পর্কে উন্নতির একটা প্রধান সংকেত টেনিস কোর্টেও পাওয়া গিয়েছে যখন ভারতীয় টেনিস মহাসংঘ পুষ্টি করেছে যে তারা আগামী মাসে ডেভিস কাপ টাইয়ের জন্য ইসলামাবাদে নিজেদের দল পাঠাবে। ওয়াসিম বলেন যে ভারতীয় বোর্ডও আইসিসি মহিলা ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচের জন্য অক্টোবরে পাকিস্তানের মহিলা দলের আতিথেয়তার জন্য নিজেদের সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছিল।