নিউজিল্যান্ড টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে। এর সঙ্গে তারা দুই ম্যাচের সিরিজকে ২-০ ফলাফলে নিজেদের নামে করে ফেলেছে। এর সঙ্গেই আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতীয় দল দ্বিতীয় হারও পেয়েছে। হারের সঙ্গেই ম্যাচের তৃতীয় দিন বেশকিছু রেকর্ড হয়েছে। আসুন আপনাদের সেই রেকর্ডের ব্যাপারে জানানো যাক।
১. বিরাট কোহলির অধিনায়কত্বে প্রথমবার টেস্টে ভারত ক্লীন সুইপ হয়েছে। তিনি ২০১৪য় ভারতীয় দলের অধিনায়ক হয়েছিলেন।
২. এর আগে টেস্ট সিরিজের ভারত ক্লীন সুইপ ২০১১-১২র অস্ট্রেলিয়া সফরে হয়েছিল। মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কত্বে ভারত ৪ ম্যাচের সিরিজে ৪-০ হার হয়েছিল।
৩. কেন উইলিয়ামসন নিউজিল্যাণ্ডের হয়ে ১৩টি ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন আর ৯টি ম্যাচে তার দল জয়লাভ করে।
১৩টি ম্যাচ গ্রেম স্মিথ (১৯টি টেস্ট)
১১টি ম্যাচ স্টিভ ওয়া (১১টি টেস্ট)
১০টি ম্যাচ ক্লাইভ লয়েড (১৭টি টেস্ট)
০৯টি ম্যাচ কেন উইলিয়ামসন (১৩টি ম্যাচ*)
৪. কাইল জেমিসনকে তার অলরাউন্ডার প্রদর্শনের জন্য ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের পুরস্কার দেওয়া হয়। এটাই প্রথমবার যখন তিনি টেস্ট ম্যাচে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের পুরস্কার পেলেন।
৫. নিউজিল্যান্ড দেশের মাটিতে লাগাতার ৬টি টেস্ট সিরিজ জিতল। এটা ধারাবাহিকতা ২০১৭.১৮য় ওয়েস্টইন্ডিজের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছিল।
জয় (২-০) বনাম ভারত, ২০১৯-২০*
জয় (১-০) বনাম ইংল্যান্ড, ২০১৯-২০
জয় (২-০) বনাম বাংলাদেশ, ২০১৮-১৯
জয় (১-০) বনাম শ্রীলঙ্কা, ২০১৮-১৯
জয় (১-০) বনাম ইংল্যান্ড, ২০১৭-১৮
জয় (২-০) বনাম ওয়েস্টইন্ডিজ, ২০১৭-১৮
৬. টম লাথাম আর টম ব্লন্ডেল প্রথম উইকেটের হয়ে ১০৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। এটা ষষ্ঠবার যখন টেস্ট ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে ভারতের বিরুদ্ধে ১০০ বা তার বেশি রানের পার্টনারশিপ হলো।
১৪২* এ রয়-জে স্টালমেয়ার, ১৯৫৩
১২৫ জে ব্লিকস –জে বেলুস, ১৯৬৪
১০১ সঈদ আনোয়ার- শাহিদ আফ্রিদি, ১৯৯৯
১৩১ এম হর্ণ-জি স্টেড, ১৯৯৯
১০৮ জি স্মিথ-এ পিটারসেন, ২০১৩
১০৩ টম লাথাম- টি ব্লন্ডেল, ২০২০
৭. ভারতীয় দলকে লাগাতার ৫ম আন্তর্জাতিক ম্যাচে হারের মুখে পড়তে হয়। ২০১১-১২য় দল শেষবার লাগাতার ৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে হারে।
৮. ভারতীয় দল দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৪ রান করে অলআউট হয়। ২০১৮র পর থেকে এটা ১১তম বার যখন ভারত দেশের বাইরে টেস্ট ম্যাচ খেলে ২০০র কম রানে অলআউট হয়েছে।