নিজের অধিনায়কত্বে ১৯৮৩ সালে ভারতকে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেতাব এনে দেওয়া ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক কপিলদেব দেশকে দুটি বিশ্বকাপ এনে দেওয়া ধোনির প্রশংসা করেছন। তিনি বলেন যে এই খেলায় ধোনির সবচেয়ে বেশি যোগদান দিয়েছেন। কপিলদেবের অধিনায়কত্বে ভারত ১৯৮৩তে বিশ্বকাপ জিতেছিল। তো ধোনিও ভারতকে ২০০৭ এ টি-২০ বিশ্বকাপ আর ২০১১য় ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ খেতাব এনে দিয়েছিলেন।
কেরিয়ারের শেষ দিকে ধোনির
ধোনি এখন নিজের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের শেষ ধাপে এসে দাঁড়িয়েছেন। গত বছর তার প্রদর্শন সামান্য নীচের দিকে পড়ে গিয়েছিল। যে কারণে বহু প্রাক্তন ভারতীয় খেলোয়াড়রাই তার সমালোচনা করতে শুরু করে দেন। যদিও কপিলদেবের মনে ধোনির জন্য এখনো সম্মানের কমতি হয়নি।
ধোনিকে নিয়ে এই কথা বললেন কপিলদেব
আইএএনএসের সঙ্গে বিশেষ কথাবার্তার কপিলদেব বলেন, “আমি ধোনির ব্যাপারে কিছু বলতে চাইনা। আমার মতে ও দেশের অনেক ভাল সেবার করেছে আর আমাদের ওর সম্মান করা উচিৎ”। ধোনি ৩০ মে থেকে ইংল্যাণ্ড এবং ওয়েলসে হতে চলা বিশ্বকাপে অংশ নেবেন আর এতে কোন দুবিধা নেই যে তিনি শেষবারের জন্য এই প্রতিযোগীতায় অংশ নেবেন।
কতদিন খেলবেন কেউ জানে না
কপিলদেব আগে আরো বলেন,
“কেউ জানে না যে ও কত দিন খেলতে চায় আর ওর শরীর কতদিন এই কাজের ভার সামলাতে পারে। কিন্তু আর কোনো এমন ক্রিকেটার নেই যিনি ধোনির মত এতটা দেশের সেবা করেছেন। আমাদের ওকে সম্মান করা উচিৎ আর ওকে শুভকামনা জানানো উচিৎ। আমি আশা করছি যে ও এবারও বিশ্বকাপ জিতবে”।
বিশ্বকাপের দল নিয়ে সন্তুষ্ট
টেস্ট ক্রিকেটে ৪০০ উইকেট আর ৫০০০ রান করা একমাত্র খেলোয়াড় কপিলদেব বর্তমান ভারতীয় দল নিয়েও সন্তুষ্ট। কপিল বলেন,
“ভারতীয় দলকে ভীষণই ভাল দেখাচ্ছে। যদিও এটা সহজ হবে না। ওদের একটি দল হিসেবে খেলতে হবে। আমি আশা করি যেন কোনো খেলোয়াড় আহত না হয়ে যায়। যদি ওদের ভাগ্য ভাল থাকে তো ওরা অবশ্যই বিশ্বকাপ জিতবে। নির্বাচকরা নিজেদের কাজ করে দিয়েছে। এখন আমাদের দলের সম্মান করা উচিৎ। ওরা পন্থের জায়গায় কার্তিককে নির্বাচন করেছে আর এটা সঠিক। আমাদের এটা মনে করা উচিৎ যে নির্বাচকরা ভাল কাজ করেছে”।