চলতি মরশুমে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অন্যতম শক্তি হতে চলেছেন ইংরেজ অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। যদিও তিনি কেকেআর-এর অধিনায়ক পদে নেই, কিন্তু তার নেতৃত্বের গুণকে কাজে লাগাতে চাইবেন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক।
এবার বিশ্বকাপজয়ী এই ইংরেজ অধিনায়কের নেতৃত্ব নিয়ে গুণগান গাইলেন তরুণ ভারতীয় ব্যাটসম্যান নীতিশ রানা। নাইট রাইডার্সের মিডল অর্ডারের অন্যতম ভরসা নীতিশ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ইয়ন মর্গ্যানের নেতৃত্বকে পুরোদমে শিখে নিতে চান তিনি।
একটি সাক্ষাৎকারে ইয়ন মর্গ্যানের বিষয়ে নীতিশ রানা বলেন, “আমি খুবই উৎসাহী কারণ প্রথমত উনি একজন বিশ্বকাপজয়ী। আর দ্বিতীয়ত, উনি এমন একজন বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান যিনি সাদা বলের ক্রিকেটে রাজত্ব করছেন। আমি মুখিয়ে রয়েছি ওনার কাছে অনেক কিছু শেখার জন্য কারণ উনি একজন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। আমি ওনার নেতৃত্বের সমস্ত গুণ গুলে খেতে চাই।”
শুধু মর্গ্যান নন, এবারের আইপিএল-এ কলকাতা নাইট রাইডার্সের শক্তি বাড়াতে হাজির হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ফাস্ট বোলার প্যাট কামিন্স। নীতিশ রানা মনে করেন, কামিন্সের আগমণে কেকেআর-এর বোলিং লাইনআপ অনেক শক্তিশালী হয়েছে এবং কামিন্সই নেতৃত্ব দেবেন এই লাইনআপকে।
এই নিয়ে রানা বলেন, “কামিন্সের আগমণে আমরা আমাদের দলে একটা নতুন শক্তি পেয়েছি। আমাদের তরুণ বোলাররা ঘরোয়া ক্রিকেটে অসাধারণ পারফর্ম করেছে এবং নাইট রাইডার্সের হয়ে গত দুই বছরে ভালো ক্রিকেট খেলেছে। আমার ইচ্ছা যে এই বোলাররা কামিন্সের কাছ থেকে যতটা পারে শিখে আসুক, যাতে তারাও টিমের জন্য আরও বড় খেলোয়াড় হয়ে ওঠে।”
কলকাতা নাইট রাইডার্সের পেস ব্রিগেডে কামিন্স ছাড়াও নজর থাকবে দুই তরুণ পেসার কমলেশ নাগারকোটি ও শিবম মাভির উপর। গত দুই বছর ধরে চোটে জর্জরিত কমলেশকে নিয়ে রানা বলেন, “খুবই দুর্ভাগ্যের যে নাগারকোটি গত দুই মরশুম চোটেই ভুগেছে। কিন্তু অন্তর্দলীয় ম্যাচগুলিতে আমি লক্ষ্য করেছি, ও এখন শারীরিকভাবে অনেক শক্ত এবং পুরোনো চোট অনেকটাই সারিয়ে উঠেছে।”
এরপর শিবম মাভি-কমলেশ নাগারকোটি জুটি নিয়ে রানা বলেন, “ও (নাগারকোটি) এবং শিবম মাভি লাগাতার ব্যাটসম্যানদের ১৪০ কিমি বেগে বল করে চলেছে। আমি বলতে পারি এটা কোনও মজা নয় যে এই ধরণের গতিসম্পন্ন বোলারদের বিরুদ্ধে খেলা। যে কোনও ব্যাটসম্যানের কাছে এটি চ্যালেঞ্জিং।”
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর এই গরমে নিজেদের কিভাবে ঠিক রাখে, সেই নিয়েও কথা বললেন দিল্লির ছেলে রানা, যিনি নিজেও এই ধরণের গরমে ক্রিকেট খেলে এসেছেন। এই নিয়ে তিনি বলেন, “আবু ধাবিতে এতটাও গরম নয় যতটা উত্তর ভারতে রয়েছে। হ্যাঁ, এই পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগে। চার ঘন্টা ধরে প্র্যাকটিস করে আমরা এতে সয়ে গিয়েছি। আমরা সকলেই পেশাদার ক্রিকেটার, তাই এই ধরণের বিষয় আমাদের উপর খুব একটা প্রভাব ফেলে না।”