লখনউ সুপার জায়ান্টস বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচে মহসিন খানের ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। আসলে গত রবিবার ডবল হেডার ম্যাচের প্রথম ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে বোলিং করে মহসিন ৪টি উইকেট নেন এবং প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচের খেতাবও জেতেন। আজ এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা মহসিন খানের সম্পর্কিত নানা অজানা কথা জানাব।
মহসিন খানের সম্পর্কিত অজানা তথ্য
লখনউ সুপার জায়ান্টসের বোলার মহসিন খান উত্তর প্রদেশের সম্ভল জেলার সন্ত কবীর নগরে জন্মান। তার বাবা একজন সাব ইনস্পেক্টর। তার দুই ভাই আর এক বোনও রয়েছে যারা বিবাহিত। ২০১৮য় মহসিন খান উত্তর প্রদেশের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ডেবিউ করেন। এই বছর ফেব্রুয়ারিতে তিনি বিজয় হাজারে ট্রফির মাধ্যমে উত্তর প্রদেশের হয়ে লিস্ট এ ম্যাচ দিয়ে নিজের কেরিয়ার শুরু করেন। আইপিএল ২০২২ এ লখনউ সুপার জায়ান্টস তাকে তার বেস প্রাইস ২০ লাখ টাকায় কিনেছিল। মহসিন খানের বোলিংয়ের কথা বলা হলে তিনি ১৩৫-১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিতে বোলিং করেন।
মহসিন খানের কাছে রয়েছে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি
মহসিন খান ২০১৭য় বেশকিছু ম্যাচ খেলেছিলেন, যারপর থেকেই তিনি শিরোনামে উঠে আসেন। আইপিএলে তিনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অংশও থেকেছেন, কিন্তু মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে তিনি একটিও ম্যাচও খেলার সুযোগ পাননি। মহসিন খানের বেশিরভাগ রোজগার ক্রিকেট খেলেই হয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে তারা মাইনেও পান আর মহসিন খানের মোট সম্পত্তি ৩ কোটি থেকে ৭ কোটি টাকার মধ্যে। লখনউ সুপার জায়ান্টসের তরফে বোলিং করে তিনি ৩টি ম্যাচে ৪টি উইকেট নিয়েছেন।
দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে নিয়েছেন ৪ উইকেট
গত রবিবার খেলা হওয়া ডবল হেডার ম্যাচের প্রথম ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসের তরফে বোলিং করে মহসিন খান ৪টি উইকেট নিয়েছিলেন। তিনি দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত বোলিং করে নিজের নির্ধারিত ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। তার এই বোলিং প্রদর্শনের কারণেই তাকে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কারেও সম্মানিত করা হয়।