সম্পর্কের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি উৎসবের দিনেই টের পাওয়া যায়। কোনও উৎসবের আসল খুশি তো নিজের আত্মীয় এবং পরিবারের সঙ্গে মানানোতেই আসে। পরিবারের লোক ছাড়া উৎসবের মজার কোনও মানেই থাকে না। উৎসব মানুষকে একে অপরের সঙ্গে জুড়ে দেয়, এবং ভাতৃত্বের ভাবনা জাগায়। অর্থাৎ যে কোনও ধর্মেরই উৎসবই হোক না কেন সকলেই নিজের পরিবারের সঙ্গে তা মানানোর ইচ্ছে রাখেন।
পরিবার ছাড়া থাকে না কোনও উৎসবেরই খুশি
সম্প্রতি সম্পুর্ণ বিশ্বজুড়েই ঈদ মানানো হল। ঈদের উৎসবের মধ্যে এমন একটি পরিবারও ছিল যারা চাইলেও নিজেদের মধ্যে মিলে ঈদের খুশি পালন করতে পারে নি। এর সবচেয়ে বড় কারণ হল সম্পর্কের তৈরি হওয়া তিক্ততা। সম্পর্কের তিক্ততা এতটাই যে একজন বাবা তার ছোট্ট মেয়ের সঙ্গেও ঈদের উৎসব মানাতে পারেন নি।
এক বাবার নিজের মেয়েকে ছাড়া যন্ত্রণায় কেটেছে ঈদে
স্ত্রীর সঙ্গে খারাপ হওয়া সম্পর্কের কারনেই এই বাবা নিজের ছোট্ট মেয়ের অপেক্ষাতেই ঈদের পুরো দিন দুঃখে কাটিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তার নিজের মেয়ের সঙ্গে ঈদ মানানোর সুযোগ ঘটে নি। শুধু তাই নয় এই বাবার জন্য এবার ঈদের খুশি দ্বিগুন হতে পারত। কারণ ঈদের আগের দিনই তার মেয়ের জন্মদিন ছিল। কিন্তু এই বাবা এতটাই দুর্ভাগা যে তিনি তার মেয়ের জন্মদিনের খুশিও উপভোগ করতে পারেন নি।
মহম্মদ শামি নিজের মেয়ের সঙ্গে মানাতে পারলেন না ঈদের খুশি
এখানে আমরা কথা বলছি ভারতীয় দলের জোরে বোলার মহম্মদ শামির কথা। যার জীবনে গত কয়েক মাসে আসা তিক্ততার যন্ত্রণা এতটাই গভীর যে তিনি নিজের মেয়ের জন্মদিন এবং ঈদের পবিত্র উৎসব নিজের মেয়ের সঙ্গে একসঙ্গে কাটাতে পারেন নি। শামির স্ত্রী হাসিন জাহানের সঙ্গে সম্পর্কে ভাঙন আসার পর থেকেই তা মহম্মদ শামির জন্য সমস্যা খাড়া করে চলেছে।
হাসিন জাহান ফেরেন নি শ্বশুরবাড়িতে, শামির ঈদ কাটল শুকনো মুখেই
এরমধ্যেই গত মাসেই হাসিন নিজের শ্বশুড়বাড়ি শামির গ্রাম সহসপুর আলিনগরে যান, কিন্তু শামির বাড়িতে তালা দেওয়া থাকায় হাসিনকে কিছুদিন পড়শিদের কাছে স্মরণ নিতে হয়, কিন্তু তারপর হাসিন এই বলে কলকাতা ফিরে আসেন যে তিনি ঈদের দিন নিজের শ্বশুরবাড়িতে ফিরবেন। কিন্তু ঈদের দিন হাসিন নিজের শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছন নি। বাড়িতে ঈদের দিন শামি একাই কাটান। যদিও শামি ওই দিন নিজের বাবা কবরে যান তাকে স্মরণ করতে কিন্তু তাকে যথেষ্টই দুঃখী দেখায়।
মেয়ের জন্য জামাকাপড় কুরিয়ার করেন শামি
যদিও শামি তার মেয়ের জন্মদিন এবং ঈদকে যে কোনওভাবেই স্মরণীয় করে রাখতে কুরিয়ারের মাধ্যমে নিজের মেয়ে বেবোকে জামাকাপড় পাঠান। শামি জানান, “ চাঁদ রাতের দিন মেয়ে বেবোর জন্মদিন হওয়ার কারণে ওরা দুদিন উৎসব মানাতে পারত। কিন্তু এবছর এই দিনটা দুঃখেই কেটে গেল। মেয়েকে জামাকাপড় কুরিয়ার করে দিয়েছি, যা ও পেয়ে গেছে”।