ভারতীয় দলের ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ সম্প্রতিই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। এই ক্রিকেটারের কেরিয়ার যথেষ্ট সংক্ষিপ্ত ছিল। এই ক্রিকেটার নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ ২০০২ এ খেলেছিলেন। এবং নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ ২০০৬এ খেলেছেন। তিনি নিজের অবসর নেওয়ার পর জানিয়েছেন, ‘আমার নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারের কোনও ব্যাপারেই আফসোস নেই। সেই সময় আমরা ক্রিকেটের সবচেয়ে সোনালি সফর খেলেছি। আমি গর্বের সঙ্গে নিজের এই ক্রিকেট জীবন শেশ করছি”। এই ক্রিকেটার বর্তমান সময়ে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যের দলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
এই চর্চিত ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলছেন ক্রিকেট
২০০০ সালেকাইফ অনুর্ধ্ব ১৯ দলের অধিনায়ক ছিলেন আর নিজের জায়গা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বানাতে সফল হয়েছিলেন।সেই সময় তিনি ভারতীয় দলের মিডল অর্ডারের একজন দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান ছিলেন। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে কাইফ বিশ্ব ক্রিকেটের চর্চিতদের তালিকায় শামিল ছিলেন এবং শচীন তেন্ডুলকর, সৌরভ গাঙ্গুলী, রাহুল দ্রাবিড়, যুবরাজ সিংয়ের মত বড় তারকাদের সঙ্গেওখেলেছেন।যা নিয়ে কাইফের গর্ব রয়েছে।
এই খেলোয়াড় পছন্দ করতেন না যুবরাজকে
তিনি স্বীকার করেছেন যে ইনি যুবরাজ সিং আর অন্য বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানদের তুলনায় আলাদা টেস্ট ব্যাটসম্যান ছিলেন। কাইফ জানিয়েছেন, “ আমি কখনওই যুবরাজের মত ব্যাটিং করা পছন্দ করতাম না। আমার ক্রিজে সময় কাটানো পছন্দ ছিল”।
এই রকম ছিল তার প্রদর্শন
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২০০৬ এ ভারতের জার্সিতে শেষবার দেখতে পাওয়া ক্রিকেট কাইফ ২০০২ এ নেটওয়েস্ট ট্রফি ফাইনালে লর্ডসের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো ৮৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এরপর বেশ কিছু দুর্দান্ত প্রদর্শন করে তিনি ১৩টি টেস্ট এবং ১২৫টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। যার মধ্যে তিনি ২,৭৫৩ রান করেছেন। ওয়ানডেতে তিনি দুটি সেঞ্চুরি এবং ১৭টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। এই ৩৭ বছর বয়েসী ক্রিকেটার স্বীকার করেছেন যে সেই সময় দলের বেশ কিছু মহান ক্রিকেটারের জন্যই বেশ কিছু তরুণ প্লেয়ার দলে কম চর্চিত হয়েছিলেন।
এই খেলোয়াড় অবসর নিয়ে খুশি
কাইফ জানিয়েছেন, “ আমি যেভাবে নিজের খেলা খেলেছি তাতে আমি খুশি। আমি ভারতীয় প্রশংসকদের জন্য বেশ কিছু সময় দেশ আর বিদেশে নিজের যোগদান দিয়েছি। যেভাবে আমি নিজের কেরিয়ার সম্পূর্ণ করেছি আর যেভাবে আমি খেলেছি সেটা একটা ভাল সময় ছিল”।