ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন তারকা অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন এই মুহূর্তে নিজের দ্বিতীয় ইনিংস হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে খেলছেন। যেখানে মহম্মদ আজহারউদ্দিনকে গত বছরই সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল, যারপর থেকে তিনি এগিয়ে তো চলেছেন কিন্তু তার নাম একটি নতুন বিষয়ে বিতর্কে জড়িয়ে গিয়েছে।
মহম্মদ আজহারউদ্দিনের নামে প্রতারণার মামলা নথিভুক্ত
ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক আর হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহম্মদ আজহারউদ্দিন এক নতুন সমস্যায় ফেঁসে গিয়েছেন, যেখানে তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এরপর পুলিশ মহম্মদ আজহারউদ্দিনের এই মামলার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। ভারতের প্রাক্তন তারকা ব্যাটসম্যান আজহারউদ্দিনের উপর মহারাষ্ট্রের এক ট্র্যাভেল এজেন্ট বড়ো অভিযোগ তুলে তার সঙ্গে আরো তিনজনের বিরুদ্ধে ঔরঙ্গাবাদের একটি পুলিশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই মামলায় তাদের উপর প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ট্যুর অ্যাণ্ড ট্র্যাভেলস কোম্পানির আজহারউদ্দিনের উপর ২০.৯৬ লাখ টাকার প্রতারণার অভিযোগ
মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ জেলার একটি ট্র্যাভেল কোম্পানি মহম্মদ আজহারউদ্দিনের বিরুদ্ধে বড়ো অভিযোগ তুলেছেন। সেখানকার দানিশ ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস কোম্পানির মালিক মহম্মদ শাদাব আজহারের বিরুদ্ধে ২০.৯৬ লাখ টাকা অর্থাৎ প্রায় ২১ লাখ টাকার প্রতারণার মামলা নথিভুক্ত করেছেন। এই বিষয়ে ট্র্যাভেলস কোম্পানির মালিক মহম্মদ শাদাবের অভিযোগ যে আজহারউদ্দিনের পিএ মুজিব খানের বলাতেই মহম্মদ আজহারউদ্দিন আর ২জন অন্য ব্যক্তির জন্য গত বছর নভেম্বরে আন্তর্জাতিক টিকিট বুক করা হয়েছিল। যার টাকা তারা এখনো পাননি।
আজহার অভিযোগ করলেন অস্বীকার
I strongly rubbish the false FIR filed against me in Aurangabad. I’m consulting my legal team, and would be taking actions as necessary pic.twitter.com/6XrembCP7T
— Mohammed Azharuddin (@azharflicks) January 22, 2020
যেখানে একদিকে এই ট্যুর অ্যাণ্ড ট্র্যাভেলস কোম্পানির মালিক এই বড়ো অভিযোগ করেছেন অন্যদিকে এই বিষয়টি নিয়ে মহম্মদ আজহারউদ্দিন টুইটারে এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন। তিনি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “আমার উপর আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। যিনি এটা করেছেন তিনি শিরোনামে আসার জন্য করেছেন। আমি দ্রুতই নিজের লিগ্যাল টিমের সঙ্গে কথা বলব আর অভিযোগ নথিভুক্তকারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব”।
অন্যদিকে মহম্মদ শাদাব বলেছেন যে, “আমি ওনাকে গত বেশকিছু বছর ধরে চিনি। আর এখনো পর্যন্ত বেশ কয়েকবার টিকিট বুক করিয়েছি। গতবার তিনি আমাকে গত বছর উনি আমাকে আজহারউদ্দিন আর অভিকলের জন্য ইউরোপের দুটি টিকিট বুক করার জন্য বলেছিলেন। যারা ইউরোপ যাওয়ার জন্য প্রথমে মুম্বাই থেকে দুবাই যান আর তারপর ফেরত আসার সময় দিল্লি হয়ে মুম্বাই আসেন। এই সবকিছুর খরচা সবমিলিয়ে মোট ২০.৯৬ লাখ টাকা ছিল। আমার আগে কখনো টাকা নিয়ে সমস্যা হয়নি তো আমার ভরসা ছিল”।