কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব আর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যে আইপিএল ২০২০-র ৩৬তম ম্যাচ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছে। এই ম্যাচ নিজেদের দুর্দান্ত প্রদর্শনের কারণে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের দল দ্বিতীয় সুপার ওভারে জিতে নিয়েছে। এই জয়ের সঙ্গেই পাঞ্জাব নিজেদের টুর্নামেন্টে বজায় রেখেছে।
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব জিতল ম্যাচ
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব আর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যে এক ভীষণই রোমাঞ্চকর ম্যাচ খেলা হয়েছে। যেখানে ২০ ওভারের ম্যাচে দুই দলই ১৭৬ রান করতে পারে। যারপর সুপার ওভার খেলা হয়, এই সুপার ওভারে ম্যাচ আরও একবার টাই হয় আর দুই দল ৫ রানই করতে পারে। আইপিএলের ইতিহাসে এক ম্যাচে দুটি সুপার ওভার খেলা হয়, যেখানে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব জয়লাভ করে। এই ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের জন্য কেএল রাহুলকে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ পুরস্কার দেওয়া হয়। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর কেএল রাহুল বলেন,
“এটা প্রথমবার নয়, আমার এটার অভ্যেস রয়েছে, কিন্তু আমরা ২ পয়েন্টস পেয়েছি, তাও যথেষ্ট ইন্টারেস্টিংভাবে। এটা সবসময় হয় না, এই কারণে আপনি জানেন না যে এই ধরণের পরিস্থিতিতে কীভাবে ভারসাম্য রাখবেন। আমরা নিএজদের হারা ম্যাচেও কিছু অদ্ভুত প্রদর্শন করেছি। আমরা প্রত্যেক ম্যাচে কড়া মেহনত করে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করছি আর এই জয় লাভ করছি। ২০ ওভার পর্যন্ত উইকেটকিপিংয়ের পর প্রথম ছয়ে ব্যাটিং ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানতাম যে এই উইকেটে ওডের ভালো স্পিনারদের সঙ্গে স্লো হয়ে যাবে, এই কারণে ময়ঙ্ক আর আমি ৫০ রানের ভালো শুরু পেয়েছি”।
ক্রিস গেইলের উপর ভরসা ছিল
ময়ঙ্ক আগরওয়াল এই ম্যাচে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে মুজবুত শুরু দিয়ে ব্যর্থ হন। এরপর ক্রিস গেইল ছোট কিন্তু ২৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। অধিনায়ক কেএল রাহুল ক্রিস গেইলের প্রশংসা করে বলেন,
“যখন ক্রিস স্পিনারদের বিরুদ্ধে খেলে তো আমার ভরসা রয়েছে ও স্পিনারদের খেলে নিতে পারবে। ক্রিস ম্যাচ জেতাতে আমাদের সাহায্য করছে, ও একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আর ও জানে যে দলকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আপনি সুপার ওভারগুলির জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন না। কোনো দলই সুপার ওভারের জন্য তৈরি নয়। আপনাকে নিজের বোলিং ইউনিটের উপর ভরসা করতে হবে আর এটা গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি ওদের নিজেদের শক্তির বিশ্বাস করতে দিন। শামি নিশ্চিত ছিল যে ও ছটা ইয়র্কার করতে চায় আ ও আমাদের জন্য দুর্দান্ত থেকেছে”।
এখন জিততে হবে সমস্ত ম্যাচ
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব এখনও পর্যন্ত খেলা ৯টি ম্যাচের মধ্যে ৩টি ম্যাচ জিতেছে আর ৬টি ম্যাচ হেরেছে। কিন্তু এখন যদি দলকে টুর্নামেন্টে বজায় রাখতে হয় তো আগে খেলা হোওয়া ৫টি ম্যাচের মধ্যে ৫টি ম্যাচ জিততে হবে। কেএল রাহুল আগে বলেন, “এটা গুরুত্বপূর্ণ যে সিনিয়র খেলোয়াড় আমাদের সমর্থন দিক। আমরা এখনও এটাকে একবারে একটা ম্যাচই নিতে চাইছি। আর যখন আপনি প্রথম সাতটি ম্যাচে খুব বেশি জয় না পান, তো প্রত্যেকটা জয় দরকারি। ড্রেসিংরুমে কথার প্রক্রিয়ার উপর মনোযোগ দেওয়া আর শান্ত থাকার উপর ফোকাস করা হয়। এইধরণের মুড আমরা সেট করতে চাই। আমরা জানি যে আমাদের এখান থেকে সমস্ত ম্যাচ জেতার প্রয়োজন, কিন্তু কোনো প্রক্রিয়ার মূল্যে নয়, আমাদের এখানে ম্যাচের আনন্দ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে”।